জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে হায়দরাবাদের দরকার ছিল ৩৯ রান। কলকাতা অধিনায়ক বল তুলে দিলেন মিচেল স্টার্কের হাতে, যাঁকে এবারের নিলামে রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কিনেছে তাঁর দল। ব্যাটিংয়ে তখন হাইনরিখ ক্লাসেন, গত বিশ্বকাপে যিনি ‘বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের’ জন্য ‘হালাকু খান’ নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন।
২৪ কোটি বনাম হালাকু খানের লড়াইটা হলো একপেশে। পাঁচ বলের তিনটিতেই ছয় মারলেন ক্লাসেন। এক বল সুযোগ পেয়ে স্টার্ককে ছয় হাঁকালেন শাহবাজ খানও। এক ওভারে ২৬ রান খরচ করে ম্যাচটা কলকাতার হাতছাড়াই করে ফেলেছিলেন স্টার্ক।
তবে জয়ের হাসিটি শেষ পর্যন্ত স্টার্কই হেসেছেন। ক্লাসেন পুড়েছেন কাছে গিয়ে শেষ করতে না পারার আক্ষেপে। হারশিত রানা নামের এক তরুণ পেসারের নৈপুণ্যে হায়দরাবাদকে ৪ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ক্লাসেন–ঝড়ের আগে–পরে কলকাতা যে ম্যাচে এগিয়ে ছিল, তাতে মূল অবদান আন্দ্রে রাসেলের। ক্যারিবীয় তারকা যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, কলকাতার রান ছিল ১২.১ বলে ৫ উইকেটে ১০৫।
এখান থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত দলের রান দুই শর ওপারে নিয়ে যান রাসেল। ৭ ছক্কা আর ৩ চারে মাত্র ২৫ বলে খেলেন ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। কলকাতার ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ বলে ৫৪ রান করেন ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট।
২০৮ রান তাড়া করতে নামা হায়দরাবাদ ৭.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়েই তুলে ফেলে ৭১ রান। এবার দৃশ্যপটে হাজির হন বোলার রাসেল। প্রথমে অভিষেক শর্মা (১৯ বলে ৩২ রান), এরপর আবদুল সামাদকে (১১ বলে ১৫) তুলে নিয়ে হায়দরাবাদকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন।
তবে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দলটিকে পথহারা হতে দেননি ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান বরুণ চক্রবর্তীর দুই ওভারে ৪টি ছয় আর স্টার্কের ১৯তম ওভারে স্টার্ককে ৩টি ছয় মেরে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তোলেন।
শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার, তখনো হারশিতের প্রথম বলে নেন ছয়, পরের বলে ১। তৃতীয় বলে শাহবাজ আউট হওয়ার পর পঞ্চম বলে স্লোয়ারে তাল মেলাতে না পেরে ক্যাচ দেন ক্লাসেনও। শেষ বলে জয়ের জন্য পাঁচ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। কিন্তু অধিনায়ক কামিন্স বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি।
কলকাতা: ২০ ওভারে ২০৮/৭ (রাসেল ৬৪*, সল্ট ৫৪, রমনদীপ ৩৫; নটরাজন ৩/৩২, মারকান্দে ২/৩৯)।
হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ২০৪/৭ (ক্লাসেন ৬৩, অভিষেক ৩২; হারশিত ৩/৩৩, রাসেল ২/২৫)।
ফল: কলকাতা নাইট রাইডার্স ৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আন্দ্রে রাসেল।