সেমিফাইনালে উঠবে কোন চারটি দল—এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন অনেকেই। রিকি পন্টিং, ব্রায়ান লারা, মাইকেল ভন, সৌরভ গাঙ্গুলী, ওয়াসিম আকরাম, মিসবাহ-উল–হক, কুমার সাঙ্গাকারা, এউইন মরগান—সাবেক খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে বলেছেন অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা বা পাকিস্তানের কথা।
কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে আফগানিস্তানও সেমিফাইনালে উঠতে পারে। আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত ৬টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স করেছে তারা। সেবার সুপার টেনে উঠেছিল আফগানরা। এবার কি পারবে নিজেদের আরেকটু ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে? সুপার এইটের সীমানা পেরিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে?
আফগানিস্তান তাদের এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে আগামীকাল, গায়ানায় উগান্ডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এ ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান বলেছেন, তাঁর দল ম্যাচ ধরে ধরে খেলবে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা রশিদকে মনে করিয়ে দিয়েছেন—কোনো কোনো পণ্ডিত আফগানিস্তানকে তো সেমিফাইনালে দেখছেন। এ বিষয়ে রশিদের মত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘পণ্ডিতেরা আমাদের সেরা চারে দেখছেন। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। আমি অবশ্য এর দিকে খুব একটা তাকাচ্ছি না। বড় ব্যাপার হচ্ছে আমরা মাঠে গিয়ে কীভাবে খেলছি।’
রশিদ এরপর যোগ করেন, ‘আমরা সর্বশেষ (ওয়ানডে) বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম। শুধু একটা ম্যাচ দূরেই ছিলাম। আমি মনে করি, সেখান থেকেই আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে কিছুই অসম্ভব নয়। তাই বলব, আমরা এই বিশ্বকাপে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। কিন্তু আমি আগেও যেমনটা বলেছি, এখনো বলব—আমরা একবারে একটা ম্যাচ নিয়েই এগিয়ে যাব।’
সেই এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে বলেই মনে করেন এই লেগ স্পিনার, ‘আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে আমাদের ঘরোয়া একটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা হয়েছে। একটা দল হিসেবে খেলোয়াড়দের যে ধরনের প্রস্তুতি দরকার, ওই টুর্নামেন্ট থেকে খেলোয়াড়েরা সেটা পেয়েছে।’
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রেহমান, রশিদ—আফগানিস্তানের এই দলের অনেকেই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছেন। বিশেষ করে এই দলের প্রায় অর্ধেক খেলোয়াড়ের ক্যরিবিয়ান লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আর আফগানিস্তানের সব ম্যাচ সেখানেই। তাতে বাড়তি সুবিধা পাবে আফগানিস্তান, এমন কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেননি রশিদ, ‘আমি মনে করি, দল হিসেবে এটা আমাদের জন্য খুব ভালো। আমাদের এই খেলোয়াড়েরা সিপিএলে খেলেছে বলে এখানকার (কন্ডিশন) সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে। আমরা এটা ছেলেদের সঙ্গে বিনিময় করব।’
তবে সতীর্থদের হয়তো একটা বিষয়ে সতর্কও করে দিয়েছেন রশিদ, ‘আমি মনে করি, আইসিসির (টুর্নামেন্ট) সব সময়ই ভিন্ন বিষয়। আপনি জানতে পারবেন না যে উইকেট কেমন আচরণ করবে। আপনাকে এ ক্ষেত্রে মানিয়ে নিতে হবে।’