পাকিস্তানের ২ স্পিনার সাজিদ খান (বাঁয়ে) ও নোমান আলী
পাকিস্তানের ২ স্পিনার সাজিদ খান (বাঁয়ে) ও নোমান আলী

২ টেস্টে ৩৯ উইকেট নেওয়া সাজিদ–নোমান পরের ম্যাচে একাদশে থাকবেন তো

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে পাকিস্তানের বোলিং মানেই ছিলেন নোমান আলী ও সাজিদ খান। দুই টেস্ট মিলিয়ে একটা সময়ে তাঁরা টানা ৮৯.৫ ওভার বোলিংও করেছেন। শেষ দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩৯টিই পেয়েছেন এই দুই স্পিনার। কিন্তু পাকিস্তানের পরের টেস্টের কি জায়গা হবে তাঁদের?

পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে এমন প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগই নেই। কারণ, এই দুই স্পিনারই ২০২১ সালের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে জিতিয়েছেন।

দেশের মাটিতে প্রথমবার পিছিয়ে পড়ার পরও সিরিজ জেতার স্বাদ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে জিম্বাবুয়ের মাঠে তাদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারার পর শেষ দুই টেস্ট জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল পাকিস্তান। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে তারা।

সেঞ্চুরিয়নে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট কাগিসো রাবাদার

তবে পারফরম্যান্সের জন্য নয়, পরের টেস্টে এই দুজনের জায়গা না হতে পারে মূলত কন্ডিশনের কারণে। পাকিস্তানের তাদের পরবর্তী টেস্ট খেলবে চলতি বছরের শেষে, ডিসেম্বরে।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম টেস্ট পাকিস্তান খেলবে সেঞ্চুরিয়নে। যে উইকেটে শীর্ষ ১০ উইকেট সংগ্রাহকের মধ্যে একজনও স্পিনার নেই। সর্বোচ্চ উইকেট ডেল স্টেইনের, ৫৯টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট কাগিসো রাবাদার। এই উইকেটে নোমান-সাজিদকে কি খেলাবে পাকিস্তান?

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টটি খেলবে কেপটাউনে। যে উইকেটেও ঐতিহাসিকভাবে পেসারদের দাপট দেখা যায়। এখানে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট সংগ্রাহকের সবাই পেসার। এই দুই টেস্টে ইংল্যান্ড সিরিজের শেষ দুই টেস্টে বাদ পড়া শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ হয়তো ফিরবেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। এই সিরিজে আবার হয়তো নোমান-সাজিদের হাতেই থাকবে পাকিস্তানের বোলিং বিভাগের মূল দায়িত্ব।