নিজেদের কাজটা করে দিয়েছেন স্টার্করা। এবার অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের পালা
নিজেদের কাজটা করে দিয়েছেন স্টার্করা। এবার অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের পালা

নিজেদের কাজটা করে দিয়েছেন স্টার্করা

বিশ্বকাপের প্রায় পুরোটা সময়ই নিষ্প্রভ ছিলেন মিচেল স্টার্ক। তাঁর মান অনুযায়ী তো বটেই। বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগে শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটিতেই খেলেননি এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। বাকি ৮ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১০টি। কিন্তু সেই স্টার্কই জ্বলে উঠেছেন আসল সময়ে। কলকাতার ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ উইকেট নেওয়ার পর আজ আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনিই অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার। নিয়েছেন ৫৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট।

শুরুতে শুবমান গিলের উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে উজ্জীবিত করেছিলেন স্টার্ক। এরপর ৬৬ রান করা লোকেশ রাহুলের উইকেটও নেন এ পেসার। এরপর নিয়েছেন মোহাম্মদ শামির উইকেট। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে স্টার্কের ৩ উইকেটের সঙ্গে জশ হ্যাজলউড আর অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের জোড়া উইকেটে ভারত থেমে গেছে ২৪০ রানে। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ কি চোখের সামনে দেখছে? স্টার্ক অবশ্য মনে করেন নিজেদের কাজটা বোলাররা সেরে রেখেছেন। এখন বাকি কাজ ব্যাটসম্যানদের, ‘যেকোনো কিছুর জন্যই একটা ভালো পরিকল্পনা দরকার। আমরা যেভাবে বল হাতে অবদান রেখেছি, সেটা আসলেই দুর্দান্ত। এখন বাকিটা ব্যাট হাতে করতে হবে।’

৫৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক

আহমেদাবাদের উইকেট কি আজ সিমারদের সহায়তা করেছে? স্টার্ক অবশ্য ঠিক তা মনে করেন না, ‘উইকেট থেকে ফাস্ট বোলার কিংবা সুইং বোলাররা যে পুরোপুরি সহায়তা পেয়েছেন, ব্যাপারটা এমন নয়। তবে আমরা অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছি। ভিন্ন কিছু। বলের গতি কমিয়ে-বাড়িয়ে বল করেছি। কামিন্স আর হ্যাজলউড দুর্দান্ত বোলিং করেছে। শেষের দিকে কিছুটা রিভার্স সুইংও কাজে এসেছে।’

২৪০ রানে ভারতকে গুটিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া

দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির বোলারদের বল করা কঠিন করে দেবে বলেই মনে করেন স্টার্ক, ‘আমরা এই মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছি। দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে শিশির ছিল। আজ উইকেট অবশ্য শুষ্ক ছিল। তবে এই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব সহজ নয়। এই উইকেটে ব্যাটিং করা তখনই সহজ, যখন বল শক্ত থাকে, নতুন থাকে। এই উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ নয়।’