বাংলাদেশের মার্কশিট

রিশাদ-হৃদয় ৯, নাজমুল ৩

এই জয়ের কৃতিত্ব বোলারদেরই দিতে হবে। শ্রীলঙ্কা যখন বড় একটা স্কোরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরে বোলারদেরই সৌজন্যে। তবে অল্প রান তাড়া করতে গিয়েও টপ অর্ডার আবারও মিডল অর্ডারকে চাপে ফেলে দিয়েছে। এই সমস্যাটির সমাধান প্রয়োজন। তবে এ ম্যাচের পর আশা করি পরে ম্যাচগুলোর জন্য দল নির্বাচন এখন আরও সহজ হবে।

তানজিম হাসান ৭/১০

মূল একাদশে থাকার কিংবা ম্যাচের প্রথম বা শেষ ওভার করার সুযোগ সম্প্রতি খুব একটা পায়নি। তারপরও তাকে দলে নেওয়ার দারুণ প্রতিদান দিয়েছে।

সাকিব আল হাসান ৪/১০

উইকেটের সহায়তা না পেলে পাওয়ারপ্লেতে বোলিংটা যথেষ্ট কার্যকরী হচ্ছে না। ব্যাটিংয়ে সুযোগ ছিল ম্যাচ শেষ করে ফেরার।

তাসকিন আহমেদ ৭.৫/১০

গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ব্রেকথ্রুটা এনে দিয়েছে। তবে তার আগপর্যন্ত নার্ভাস মনে হয়েছে। ছন্দ পাওয়ার পর অবশ্য আর পেছন ফিরে তাকায়নি।

মোস্তাফিজুর রহমান ৮.৫/১০

দারুণ নিয়ন্ত্রিত ও বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং দেখলাম। তার ১৭ রানে ৩ উইকেট শ্রীলঙ্কাকে অল্প রানে আটকে রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।

রিশাদ হোসেন ৯/১০

ভালো একটা অবস্থানে থেকেও শ্রীলঙ্কা বড় স্কোর গড়তে পারেনি রিশাদের দারুণ বোলিংয়ের কারণে। চাপের মুখেও দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। ২২ রানে গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট ওকে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও এনে দিয়েছে।

মাহমুদউল্লাহ ৭/১০

১ ওভার বোলিং করলেও তা ছিল অত্যন্ত কার্যকর। চাপের মুখে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করে আসার সামর্থ্যের ব্যাপারটি আবার প্রমাণ করল।

তানজিদ হাসান ৩/১০

এটি চিরায়ত টি-টোয়েন্টি উইকেট নয়, সেটি মাথায় রেখে ব্যাটিং কৌশল নির্ধারণ করার প্রয়োজন ছিল, যেমনটি লিটন করেছে। তবে পরিস্থিতির চাপে নিজেকে পুরোপুরি গুটিয়ে রাখেনি, সেটি ভালো লেগেছে।

সৌম্য সরকার ৩/১০

একটা ‘নাথিং শট’ খেলে আউট হয়ে গেল। চাপের মুখে নিজের সহজাত খেলাটা খেলতে না পারাই হয়তো এর কারণ। তবে স্লিপের ক্যচটি ছিল দুর্দান্ত, এ জন্য ১ বেশি পাচ্ছে।

লিটন দাস ৮/১০

ফর্মের বাইরে থাকা একজন ব্যাটসম্যানের জন্য অসম্ভব চাপের মধ্যেও দলের বোঝা নিজের কাঁধে নিয়ে ব্যাটিং করা কতটা কঠিন—সেটা যে করে, সেই বোঝে। লিটনকে বাহবা দিতেই হবে! ম্যাচে উইকেটকিপিংও ছিল নিখুঁত।

নাজমুল হোসেন ৩/১০

অধিনায়কের একেবারেই ভালো সময় যাচ্ছে না। আশা করি দলের এই জয় তাকে কিছুটা নির্ভার করবে, নিজের সহজাত খেলায় ফিরে আসতে সাহায্য করবে। অধিনায়কত্ব সন্তোষজনক ছিল।

তাওহিদ হৃদয় ৯/১০

বড় শট খেলার দক্ষতা থাকাই যথেষ্ট নয়, চাপের মুখে সেটি খেলার সাহসও থাকতে হয়। হৃদয়ের ২০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি ছাড়া লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন হতো বাংলাদেশের জন্য। আমার চোখে সে-ই ম্যাচের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’।