ইংল্যান্ডের ১০০ বলের টুর্নামেন্ট দ্য হানড্রেড
ইংল্যান্ডের ১০০ বলের টুর্নামেন্ট দ্য হানড্রেড

বলের লোগো যখন কম রানের কারণ

ছোট সংস্করণের ক্রিকেট মানেই চার-ছক্কার প্রদর্শনী, বলের ওপর ব্যাটের দাপট। টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ কিংবা ১০০ বলের প্রতিযোগিতা ‘দ্য হানড্রেড’ দেখতে দর্শকরা মাঠে আসেন এ কারণেই। এবারের হানড্রেডে অবশ্য তা দেখা যাচ্ছে না। বল-ব্যাটের প্রতিযোগিতায় বলের দাপটই বরং বেশি। সুইং আর সিম মুভমেন্ট পেসারদের বাড়িয়ে দিচ্ছে সাহায্যের হাত। তাতে রান রেট কমছে, কমছে চার-ছক্কা।

খেলোয়াড়েরা এর একটা কারণ খুঁজে বের করেছেন। এক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার টেলিগ্রাফকে জানান, হানড্রেডে যে কুকাবুরা বল ব্যবহার করা হয়, সে বলে হানড্রেডের লোগো থাকায় বল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভারী মনে হচ্ছে। যে কারণে সুইং ও সিম মুভমেন্টও বেশি হচ্ছে। এবারের হানড্রেডের প্রথম ১১ ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ওভারপ্রতি গড় রান রেট ৭.৯, গত বছর যা ছিল ৯.১।

নারী লন্ডন স্পিরিট দলের অধিনায়ক হেদার নাইট টেলিগ্রাফকে বলেছেন, অন্যান্য টুর্নামেন্টে চেয়ে হানড্রেডের বল বেশি মুভমেন্ট পাচ্ছে। তিনি অবশ্য অন্য আরেকটি কারণ তুলে ধরেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে বল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে সুইং করছে। আমি জানি না কেন, তবে অন্য টুর্নামেন্টের বলের চেয়ে এই বলের রং অন্য রকম মনে হচ্ছে।’ হানড্রেডের একটি দলের এক কর্মকর্তা এই বল বদলানোর দাবিও তুলেছেন, ‘যা হচ্ছে এটা বোকামি। তারা ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে তুলছে।’

ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝপথে বল পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন না। তাঁদের যুক্তি, এর আগের তিন বছরও একই ধরনের বলে হানড্রেডের ম্যাচ হয়েছে।

কুকাবুরার পরিচালক ব্রেট এলিয়টও একই কথা বলেছেন, ‘বল পরিবর্তন করা হয়নি। আগের মৌসুমে যা ছিল তাই দেওয়া হয়েছে। কদিন আগের বিশ্বকাপ বা আইপিএল, সবখানেই এই বল ব্যবহার করা হয়েছে। কন্ডিশন ও উইকেটের ধরন হয়তো ভিন্ন হতে পারে। তবে আমরা চেষ্টা করি বল যেন সব ধরনের কন্ডিশনে প্রায় একই ধরনের আচরণ করে।’