শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের কাছে ১৯ রানে হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের কাছে ১৯ রানে হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল

ইমার্জিং এশিয়া কাপ

টানা ২ হারে বাংলাদেশের বিদায়

টুর্নামেন্টের নাম ইমার্জিং বা উদীয়মানদের এশিয়া কাপ হলেও জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, এমন ৮ খেলোয়াড়কে পাঠিয়েছে বিসিবি। তবু প্রত্যাশার ধারেকাছে যেতে পারল না বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আফগানদের পর লঙ্কানদের কাছেও হেরে তাওহিদ হৃদয়–মোহাম্মদ নাঈম–আকবর আলীরা বিদায় নিলেন গ্রুপ পর্ব থেকেই।

ওমানের রাজধানী মাস্কাটের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৬১ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা ‘এ’। জবাবে বাংলাদেশ ‘এ’ ৭ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৪২ রান। ১৯ রানের জয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে গেল লঙ্কানরা। তাদের সঙ্গী হলো আফগানিস্তান ‘এ’।

দলকে সমর্থন দিতে মাঠে গিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কিন্তু হৃদয়–আকবররা তাঁদের হতাশ করেছেন

যদিও টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে হংকংকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। কিন্তু আকবর আলীর দল পরশু আফগানিস্তানের কাছে হেরে যায় সেদিকউল্লাহ অটলের অপরাজিত ৯৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসের কাছে।

শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলও হংকংয়ের বিপক্ষে জিতেছিল আর আফগানদের কাছে হেরেছিল। ফলে এই ম্যাচটি ‘অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে’ রূপ নেয়। যেখান থেকে হৃদয়–রেজাউর–আবু হায়দারদের ছিটকে দিল লঙ্কানরা।

দুই ওপেনার যশোদা লঙ্কা ও লাহিরু উদারা শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে দারুণ শুরু এনে দেন। দুজন তোলেন ৪০ রান। তবে রেজাউর–সাইফ–মাহফুজুরদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পরের ৪১ রান করতে ৩ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।

ম্যাচের সবচেয়ে বড় জুটিটা হয় এরপরেই। চতুর্থ উইকেটে শাহান আরাচ্চিগে ও পবন রতনায়াকে গড়েন ৪২ বলে ৬৪ রানের জুটি। এ দুজন আউট হওয়ার পর শেষ দিকে রিপল মন্ডল আরও দুটি উইকেট নিলেও লঙ্কানরা বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়।

রান তাড়ায় পারভেজ হোসেন ও সাইফ হাসানের সৌজন্যে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভার শেষ হওয়ার আগেই লাল–সবুজের প্রতিনিধিদের স্কোর ৪০ পেরিয়ে যায়। তবে সেই ওভারেই পারভেজকে আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম ধাক্কা দেন ঈশান মালিঙ্গা।

৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন দুশান হেমন্ত

তবে বাংলাদেশ সম্ভবত সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় এরপর। দলীয় ৫৯ আর ব্যক্তিগত ২৯ রানে থাকতে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন দারুণ খেলতে থাকা সাইফ। তিনি চলে যাওয়ার পর দুশান হেমন্ত ও রমেশ মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে টপাটপ উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ৭০/১ থেকে ১১৭/৭–এর দলে পরিণত হয় তারা।

এরপর ৩ ছক্কা ও ১ চারে আবু হায়দারের অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন হেমন্ত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলঙ্কা ‘এ’: ২০ ওভারে ১৬১/৭
(রতনায়াকে ৪২, উদারা ৩৫, আরাচ্চিগে ৩০; রেজাউর ২/৩৫, রিপন ২/৩৬)।
বাংলাদেশ ‘এ’: ২০ ওভারে ১৪২/৭
(হায়দার ৩৮*, সাইফ ২৯, পারভেজ ২৪; হেমন্ত ৩/২৩)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ‘এ’ ১৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: দুশান হেমন্ত।