উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানের সংজ্ঞাটাই বদলে দিয়েছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। একজন উইকেটকিপার যে ব্যাটসম্যান হিসেবেও দলের অন্যতম ভরসা হতে পারেন, অস্ট্রেলীয় তারকা সেটিই করে দেখিয়েছেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর বিস্ফোরক ব্যাটিং ছিল দর্শকের জন্য উপভোগ্য। গিলক্রিস্টের পথ অনুসরণ করেই ক্রিকেট পেয়েছে কুমার সাঙ্গাকারা ও মহেন্দ্র সিং ধোনিদের। হালে ঋষভ পন্তেরও তুলনা করা হচ্ছে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সঙ্গে।
মহেন্দ্র সিং ধোনির শূন্যতা ভালোভাবেই পূরণ করেছেন ঋষভ পন্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তো পন্ত ছাড়িয়ে গেছেন ধোনিকেও। পন্ত ভারতের একমাত্র উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান, যাঁর শতরান আছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে পন্তের অসাধারণ ব্যাটিংই বড় ভূমিকা রেখেছিল। হালে পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইংল্যান্ডের জস বাটলার, দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককরা ভালো করলেও এঁদের চেয়ে দলে প্রভাব রাখার ক্ষেত্রে পন্ত অনেকটাই এগিয়ে।
অ্যাডাম গিলক্রিস্টেরও মত, পন্ত এই মুহূর্তে ক্রিকেটের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর তারকা, ‘আমি মনে করি, সে যখন মাঠে নামে, মঞ্চটাকে আলোকিত করে ফেলে। সে দুর্দান্ত একটা পরিবেশ তৈরি করে। তার খেলা দেখাটা চোখের জন্যও দারুণ।’
অবশ্য পন্তের ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনাও আছে। অনেক সময়ই তাঁকে ‘বেপরোয়া’, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ইত্যাদি তকমা দিয়েছেন সমালোচকেরা। বিশেষ করে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পরিণতিতে পন্ত যখন নিজের উইকেট দিয়ে আসেন, তখন। তবে গিলক্রিস্ট বলছেন, এই জায়গাটাতেই সবার উচিত পন্তের পাশে দাঁড়ানো। তিনি বিসিসিআইসহ সবাইকেই পন্তকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।
গিলক্রিস্ট বলেছেন, ‘বিসিসিআই ও ভারতীয় নির্বাচকদের পন্তের ব্যাপারে সদয় হতে হবে। তাদের ধৈর্য ধরতে হবে। এমন সময় আসবে, যখন কয়েকটি ইনিংসে পন্ত ব্যর্থ হবে, রান করতে পারবে না। ওই সময় ওর প্রতি কঠোর হওয়া যাবে না। তার ব্যাটিংয়ের সহজাত বৈশিষ্ট্যটা নষ্ট করা যাবে না।’