সৌম্য সরকার আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। আম্পায়ার গাজী সোহেল আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রিভিউ নেন। সেটাও অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান লিটন দাসের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই।
সৌম্য শেষ পর্যন্ত আউট হননি, আলট্রা-এজে স্পাইক দেখানো সত্ত্বেও টেলিভিশন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান ঘোষণা করেন, বল ব্যাটে লাগেনি। গতকাল সিলেটে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে সৌম্যও জানিয়েছেন, বল ব্যাটে লাগেনি—এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাস ছিল তাঁর।
ম্যাচ শেষে টি-স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌম্য বলেছেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, বল আমার ব্যাট লাগেনি। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর আমি সরাসরি রিভিউ নিয়েছি। হয়তোবা কোনো একটা শব্দ এসেছিল, আমার চেইন থেকে হতে পারে কিংবা হেলমেট থেকে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসী থাকার কারণেই লিটনের কাছে জিজ্ঞাসা না করেই রিভিউ নেওয়া।’
বিতর্কিত এই সিদ্ধান্তে বেঁচে যাওয়ার পরও সৌম্য বেশি রান যোগ করতে পারেননি। আম্পায়ার আউট দেওয়ার সময় তাঁর রান ছিল ১০ বলে ১৪। ‘জীবন’ পাওয়ার পর আর ১২ বলই স্থায়ী হয়েছে তাঁর ইনিংস। আউট হয়েছেন ২২ বলে ২৬ রান করে। সৌম্য বাড়তি করতে পেরেছেন ১২ রান।
ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়ার পর টানা দুই ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেন সৌম্য। তবে সবচেয়ে বড় সুযোগ মিস করেছেন গতকালই। সৌম্যর কণ্ঠেও শোনা গেছে এই আক্ষেপ, ‘যদি শেষ করে আসতে পারতাম, বা আরও কিছুটা এগিয়ে দিতে পারতাম, ভালো লাগত। শুরুটা ভালো হয়েছিল, একটা ভুল করেছি। সামনে যেন এই ভুলটা না করি, সেদিকে মনোযোগ থাকবে।’
সৌম্যর এই রোগ পুরোনো। সর্বশেষ ১০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চারবার ২০ রানের গণ্ডি পেরিয়েছেন। এর মধ্যে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২৬। সব মিলিয়ে সৌম্যর গড় খুব একটা ভালো নয়। ৭৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১২৭৬ রান করেছেন ১৭.৪৭ গড়ে। স্ট্রাইক রেট ১২২.৪৫।