দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তানজিদ ও হৃদয়
দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তানজিদ ও হৃদয়

তানজিদ শেষ করে আসায় সন্তুষ্ট নাজমুল

পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আসার সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের চাহনিতে অতিরিক্ত কোনো উচ্ছ্বাস ধরা পড়ল না। মাঠে কিছুক্ষণ আগেই জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেই জয়টাও এসেছে ২৮ বল হাতে রেখে, একপেশে আধিপত্য বজায় রেখে। মাইক্রোফোনের সামনে নাজমুলকে দেখে মনে হলো, এটাই তো হওয়ার কথা ছিল!

তবে নাজমুল কিন্তু সন্তুষ্ট। সেটি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে। আগে ব্যাটিং করা জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১২৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন বোলাররা। এরপর ব্যাটসম্যানরা দাপটের সঙ্গে ব্যাট করেন। ক্রিকেটে তবু উন্নতির জায়গা থেকে—সঞ্চালক সেটুকু মনে করিয়ে দিলেও নাজমুল আপাতত শুধু সন্তুষ্টির কথাই জানালেন, ‘আজ সবাই খুব ভালো খেলেছে। তাসকিন, মেহেদী, আসলে সব বোলারই আজ ভালো শুরু করেছে এবং আমি তাতে খুব খুশি। তবে উন্নতির জায়গা তো সব সময় থাকেই।’

ফিফটি তুলে নেন তানজিদ

এরপর উঠল তানজিদ হাসানের প্রসঙ্গ। ২ ছক্কা ও ৮ চারে ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এ ওপেনার। সেটাও দেশের হয়ে অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে। তিনবার ‘জীবন’ পেলেও তানজিদের ব্যাটিংয়ে সন্তুষ্ট নাজমুল, ‘তানজিদ যেভাবে ব্যাট করেছে সেটা আমাদের দলকে সত্যিই সাহায্য করেছে। আশা করি সে ফর্মটা ধরে রাখতে পারবে।’ কয়েক দফা বৃষ্টি ম্যাচে বিঘ্নও ঘটিয়েছে। নাজমুল এ প্রসঙ্গে জানালেন, প্রকৃতির ওপর তো কারও নিয়ন্ত্রণ নেই, ‘তবে নিজেদের ভালো করার প্রক্রিয়াটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।’

তৃতীয় উইকেটে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৩৬ বলে ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন তানজিদ। ১৮ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। তাঁর প্রশংসা করতে গিয়ে তানজিদের প্রসঙ্গ আবারও টানলেন নাজমুল, ‘তাওহিদ এই উইকেটে সত্যিই খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। সে নিজের জাতটা দেখিয়েছে। তবে আমি তানজিদকে নিয়ে সত্যিই খুব খুশি। কারণ সে ইনিংসটা শেষ করে এসেছে।’
রোববার চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।