‘আমি নতুন কাজ খুঁজছি। আপনাদের সমর্থন পেলে খুশি হব। ক্রিকেট কোচের ভূমিকায় কাজ খুঁজছি। যদি কোনো সুযোগ থাকে কিংবা আমাকে প্রয়োজন হয়, অনুগ্রহ করে আমাকে বার্তা পাঠাবেন কিংবা নিচে মন্তব্য করবেন। আমি যোগাযোগ করব।’
লিংকডইন প্রোফাইলে আরও লেখা হয়েছে, ‘স্টুয়ার্ট ইজ ওপেন টু ওয়ার্ক। লুকিং ফর ক্রিকেট কোচ অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট রোলস।’ বাংলায় অর্থটা এমন দাঁড়ায়, স্টুয়ার্ট ল এখন বেকার। তিনি ক্রিকেট কোচ ও সহকারীর ভূমিকায় কাজ করতে চান।
ল? নামটি শুনে ২০১২ এশিয়া কাপের স্মৃতি ভেসে উঠতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ব্যাটসম্যান ২০১১ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। প্রায় ৯ মাস পর পারিবারিক কারণে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার আগে তাঁর অধীনে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। পরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরও প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন।
সর্বশেষ কোচ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের। গত অক্টোবরে সাত মাসের মাথায় সেই চাকরিও চলে যায় তাঁর।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হারের পর স্টুয়ার্ট লকে বরখাস্ত করে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট। একটি প্রতিযোগিতার মাঝপথে লর চাকরি হারানোর পেছনে ছিল খেলোয়াড়দের প্রতি বৈষম্য, অবিশ্বাস ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলসহ দলের সাত-আটজন সিনিয়র খেলোয়াড় তাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছিলেন।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন ছাড়াও শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচেরও দায়িত্ব পালন করেছেন ল। ৫৬ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান কোচিং করিয়েছেন তাঁর নিজ দেশেও। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ ছিলেন, অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও কোচিং করিয়েছেন।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, লর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের কাছে লিখিত চিঠিতে খেলোয়াড়েরা অভিযোগ করেছিলেন। সেই চিঠিতে ‘কিছু খেলোয়াড়ের প্রতি তাঁর বিদ্বেষপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দলের পরিবেশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে’ দাবি করে আরও লেখা হয়, ল কীভাবে ‘মিথ্যা ও চাতুর্যপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করেছিলেন’। এ ছাড়া কিছু খেলোয়াড়ের প্রতি তাঁর ‘বৈষম্যমূলক নীতি’তে সেসব খেলোয়াড় ‘বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি সম্পূর্ণ হতাশ হয়ে পড়েছিল’ বলেও অভিযোগ করা হয় চিঠিতে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১টি টেস্ট ও ৫৪ ওয়ানডে খেলা স্টুয়ার্ট ল ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন। টেস্টে একটি ফিফটি ও ওয়ানডেতে ১টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৭টি ফিফটি আছে তাঁর। ২০০৯ সালে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তাঁর অধীনে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম ম্যাচে কানাডাকে হারানোর পর গ্রুপ পর্বেই সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল।