কঠিন এক সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। আফ্রিকান অঞ্চলের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আজ শেষ ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে শুধু জিতলেই চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে উগান্ডার ম্যাচের দিকেও। কেনিয়ার জন্যও সমীকরণটা এমনই।
জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ার জন্য ‘যদি, কিন্তু’র হিসাব মেলানো যতটা কঠিন, ততটাই সহজ উগান্ডার জন্য। বাছাইপর্বে নিজেদের সব ম্যাচে হেরে যাওয়া রুয়ান্ডার বিপক্ষে জয় পেলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলবে উগান্ডা।
আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে এরই মধ্যে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে এই প্রতিযোগিতার স্বাগতিক নামিবিয়া। দ্বিতীয় দল হিসেবে মূল পর্বে ওঠার খুব কাছে উগান্ডা। এখন পর্যন্ত বাছাইপর্বে পাঁচ ম্যাচ খেলে চারটিতেই জিতেছে উগান্ডা। গত রোববার তারা জিম্বাবুয়েকেও হারিয়েছে। নিজেরা হেরেছে শুধু নামিবিয়ার বিপক্ষে। চার জয়ে তাদের পয়েন্ট ৮।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে বাছাইপর্বে নামিবিয়া ও উগান্ডার কাছে হেরেছে। তিন জয়ে তাদের পয়েন্ট ৬। কেনিয়ার পয়েন্টও জিম্বাবুয়ের সমান ৬। বাছাইপর্বে তাদের হারও উগান্ডা ও নামিবিয়ার বিপক্ষে।
আজ রুয়ান্ডার বিপক্ষে জয় পেলে ১০ পয়েন্ট হবে উগান্ডার। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ার ম্যাচে যে দল জিতবে, তাদের পয়েন্ট হবে ৮। তাই উগান্ডা জিতলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে চলে যাবে। সেটা হলে চার মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে না পারার যন্ত্রণায় পুড়তে হবে জিম্বাবুইয়ানদের। গত জুন–জুলাইয়ে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুর্দান্ত খেলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় ভারতের টিকিট পাননি সিকান্দার রাজা–রায়ান বার্লরা।
উগান্ডা যদি হেরেও যায়, তাহলেও সম্ভাবনা থাকবে। রুয়ান্ডার কাছে হারলে তাদের পয়েন্ট এবং জিম্বাবুয়ে কিংবা কেনিয়ার পয়েন্ট হবে সমান ৮। তখন আসবে নেট রানরেটের হিসাব। সেই হিসাবে উগান্ডার (+০.৭৫৯) চেয়ে এগিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে (+২.৩২২)। আবার কেনিয়ার (+০.০৩৯) চেয়ে এগিয়ে আছে উগান্ডা। অর্থাৎ, উগান্ডার সমান পয়েন্ট হলে বিশ্বকাপের মূল পর্বে চলে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে কেনিয়ার সমান পয়েন্ট হলে উগান্ডাই এগিয়ে থাকবে। তাই আজ জিম্বাবুয়েকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে কেনিয়ার।
তবে একে–অপরের সমীকরণ দেখে মাঠে নামার সুযোগ নেই জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া ও উগান্ডার। কারণ, তাদের ম্যাচগুলো শুরু হবে একই সময়ে—আজ বাংলাদেশ সময় ঠিক বেলা দেড়টায়।