শুবমান গিল বোধ হয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার অপেক্ষাতেই ছিলেন। নিজের ক্যাচআউট নিয়ে গিল এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে দিনের খেলা শেষ হওয়ার মাত্র ১৫ মিনিট পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আউট নিয়ে পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টে ক্যামেরন গ্রিনের ক্যাচ নেওয়ার ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে দুটি আতশি কাচের ইমোজি দিয়েছেন গিল। ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এভাবে গিল পোস্ট করতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এই পোস্টের কারণে শাস্তির মুখেও পড়তে পারেন ভারতের ব্যাটসম্যান। কারণ, আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৭ ধারা অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টও ‘কোড অব কনডাক্ট’ ভাঙার আওতায় আসবে।
গিল নিজে এই বিতর্ক শুরু করেছেন, এমন নয়। গিলকে গতকাল আউট দেওয়ার পর থেকেই আলোচনাটা চলছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৪৪৪ রানের রেকর্ড লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮ বলে ১৮ রান করে ইনিংসটার ভালোই শুরু করেছিলেন গিল। চতুর্থ ইনিংসের অষ্টম ওভারে স্কট বোল্যান্ডের বল গিলের ব্যাট ছুঁয়ে স্লিপে যায়। তৃতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ক্যামেরন গ্রিন বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরেন।
শুরুতে পরিষ্কার ক্যাচই মনে হয়েছিল। কিন্তু রিপ্লে দেখে মনে হয়, গ্রিনের দুই আঙুলের ফাঁক দিয়ে বল মাটি স্পর্শ করেছে। মাঠের আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তিনি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠান। অনেকক্ষণ ধরে ঘটনাটি দেখে তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবোরো ভারতীয় এই ওপেনারকে আউট ঘোষণা করেন।
এরপর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই আউটে কেন সফট সিগন্যাল ব্যবহার করা হয়নি। যার ব্যাখ্যা পরে আইসিসিও দিয়েছে। মূলত চলতি জুনের শুরু থেকেই সফট সিগন্যাল পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। এ পদ্ধতি বাতিলের পর এটি দ্বিতীয় টেস্ট। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের টেস্ট দিয়েই এই নিয়ম শুরু হয়। এখন আর মাঠের আম্পায়াররা কোনো ‘সফট সিগন্যাল’ দিতে পারেন না। এখন তৃতীয় আম্পায়ার নিজে দেখেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
গিলকে আউট দেওয়ায় মাঠেই অসন্তোষ জানান অধিনায়ক রোহিত। এরপর দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে পেসার মোহাম্মদ শামির কণ্ঠেও ছিল আউট নিয়ে হতাশা, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আম্পায়ার আরও একটু সময় নিতে পারতেন। এটা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, কোনো সাধারণ ম্যাচ নয়। তবে এটাও খেলার অংশ, ঠিক আছে।’
যিনি ক্যাচটা নিয়েছেন, সেই গ্রিন অবশ্য নিজের ক্যাচ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, ‘আমার মনে হয়েছে, ঠিকঠাকভাবেই ক্যাচটা নিয়েছি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তৃতীয় আম্পায়ারকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আউট দিয়েছেন।’