ঘরে কিংবা বাইরে পাকিস্তান বড় কোনো দলের কাছে সিরিজ হারলেই সমালোচনায় মুখর হন দেশটির সাবেকেরা। এবারের হার যেহেতু বাংলাদেশের বিপক্ষে তাই একদম ধুয়ে দেওয়াই স্বাভাবিক! জাভেদ মিয়াঁদাদ অবশ্য অত কড়া কথা বলেননি। পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘বড়ে মিয়াঁ’ তাঁর দেশের খেলার মান পড়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কিত। বাংলাদেশের খেলারও প্রশংসা করেছেন ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী মিয়াঁদাদ।
রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করল নাজমুল হোসেনের দল। এমন হারের পর ভিডিওবার্তায় কথা বলেছেন ৬৭ বছর বয়সী মিয়াঁদাদ। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে পাকিস্তান কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আমাদের ক্রিকেটের এই পর্যায়ে নেমে আসা দেখাটা যন্ত্রণার। গোছালো পারফরম্যান্সের জন্য বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তবে এই সিরিজে আমাদের ব্যাটিং যেভাবে ভেঙে পড়েছে সেটি খারাপ লক্ষণ।’
তবে শুধু খেলোয়াড়দের দোষারোপ করেননি মিয়াঁদাদ। টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক দোষ দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও (পিসিবি)। তাঁর দাবি, পিসিবিতে চলমান ঝামেলার প্রেক্ষিতেই শান মাসুদের দল আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে, ‘আমি শুধু খেলোয়াড়দের দোষ দেব না। গত দেড় বছরে বোর্ডে যা কিছু ঘটেছে এবং অধিনায়কত্ব ও ম্যানেজমেন্টও বদল হয়েছে, সেটা দলে প্রভাব ফেলেছে।’
পাকিস্তানের আরেক কিংবদন্তি ইনজামাম-উল-হকও কথা বলেছেন শান মাসুদদের সিরিজ হার নিয়ে। ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’ এ নিয়ে তাঁর উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে, ‘অতীতে ঘরের মাঠে সিরিজ ছিল সেরা দলগুলোকে হারানোর সেরা সুযোগ। কিন্তু এটা করতে হলে ব্যাটসম্যানদের রান পেতে হবে।’
এ দুটি সংবাদমাধ্যম পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইউনিস খানের উদ্ধৃতিও প্রকাশ করেছে। পাকিস্তান কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানেরা অতীতে রান পেয়েছে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমার মনে হয় এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে তাদের মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে এবং পরিষ্কার চিন্তা ভাবনা করতে হবে।’