দুই দলের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের ফাইনালে। যে ম্যাচে ভারতের কাছে ৫০ রানে অলআউট হয়ে ১০ উইকেটে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। আগামীকাল মুম্বাইয়ে সেই ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ম্যাচ শ্রীলঙ্কার। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে এশিয়া কাপ ফাইনালের হার শ্রীলঙ্কাকে বাড়তি প্রেরণা জোগাবে বলে জানিয়েছেন দলটির প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ভারত। সর্বশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকেও বিধ্বস্ত করেছে স্বাগতিকেরা। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা এ ম্যাচে নামছে ৬ ম্যাচে মাত্র ২টি জয় সম্বল করে। এবার আফগানিস্তানের কাছেও হেরেছে তারা।
এ ম্যাচের আগে আজ সাংবাদিকদের সিলভারউড বলেছেন, ‘আমি বরং আশা করব এশিয়া কাপের হার ছেলেদের আরও বেশি প্রেরণা দেবে আগামীকাল। লড়াই করতে, আত্মবিশ্বাস দেখাতে, উৎসাহ নিয়ে ভারতের মুখোমুখি হতে। আমরা জানি, তারা অনেক ভালো দল। এ টুর্নামেন্টে তাদের দারুণ ক্রিকেট খেলতে দেখেছি। কিন্তু আমাদের ছেলেরা কিসে তৈরি, সেটি দেখানোর ভালো সুযোগ এটি।’
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই ২০১১ সালের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছিল। তাঁর দলের সে ইতিহাসও জানা, মনে করিয়ে দিয়েছেন সিলভারউড, ‘সত্যি বলতে কি, ছেলেরা ইতিহাস সম্পর্কে জানে। তাদের দল নিয়ে, অতীতের ফল নিয়ে তারা কথা বলে।’
কিন্তু এমন স্টেডিয়ামে খেলাটাই বাড়তি প্রেরণা বলে মনে করেন সিলভারউড, ‘কিন্তু এটাও মানতে হবে, এটা দারুণ একটা স্টেডিয়াম। যখন আপনি মাঝে গিয়ে দাঁড়াবেন, গায়ের রোম দাঁড়িয়ে যাবে। গ্যালারিভর্তি দর্শকের সামনে পারফর্ম করতে অনেক রকমের প্রেরণাই আছে।’
সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে এ ম্যাচে জয় গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কার। ইংল্যান্ডকে হারালেও এবার আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। আফগানদের সঙ্গে ২৪১ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর ৭ উইকেটে হেরেছে তারা।
সিলভারউড বলেছেন, ‘সেদিনের ফলে আমরা সবাই হতাশ। তাতে আফগানিস্তানকে খাটো করার কিছু নেই। ড্রেসিংরুমে আমরা আলোচনা করেছি, কিছু বিষয় তুলে ধরেছি। এরপর এখানে এসে আমরা অনুশীলনে ঠিকঠাক করার চেষ্টা করছি। ফলে আগামীকাল আমরা প্রস্তুত হয়েই নামব।’
এখন পর্যন্ত দলটির সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান সাদিরা সামারাবিক্রমা। একটি শতক, দুটি অর্ধশতকসহ ৩৩১ রান করেছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে সিলভারউড বলেছেন, ‘সে নিজের ব্যাপারে জানে। আরও বড় ব্যাপার হচ্ছে, সে জানে কী তার কাজে দেয়। এখন সে ধারাবাহিকভাবে সেটি করার চেষ্টা করছে। আমার মনে হয়, সব বড় ব্যাটসম্যানই তা–ই করে। বিরাট কোহলির মতো মানুষের দিকে তাকালে দেখবেন, তারা যা করছে, সেটি ধারাবাহিকভাবেই করছে।’