টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি মাত্র দুই দিন
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি মাত্র দুই দিন

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার যেসব রেকর্ড ভাঙতে পারে

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি মাত্র দুই দিন। বিশ্বকাপ মানেই তো রেকর্ড ভাঙা–গড়ার খেলা। আর সংস্করণ যদি হয় টি-টোয়েন্টি, তাহলে তো আর কথাই নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের বিশ্বকাপে অনেক রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে। সেসবে চোখ বোলানো যাক—

সর্বোচ্চ চার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চসংখ্যক চার মেরেছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। লঙ্কান এই কিংবদন্তির চারের সংখ্যা ১১১। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের বিরাট কোহলি চার মেরেছেন ১০৩টি, অর্থাৎ মাত্র ৯টি চার মারলেও জয়াবর্ধনেকে ছাড়িয়ে যাবেন কোহলি। এই তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে তিলকরত্নে দিলশান। তিনি চার মেরেছেন ১০১টি। ৯১টি চার মেরে চতুর্থ স্থানে রোহিত শর্মা। ৮৬টি চার মেরে ডেভিড ওয়ার্নার আছেন পঞ্চম স্থানে। অর্থাৎ কোহলি, রোহিত কিংবা ওয়ার্নার—প্রত্যেকেরই জয়াবর্ধনেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চসংখ্যক চার মেরেছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে

দ্রুততম সেঞ্চুরি (বলের হিসাবে)

বলের হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্রুততম দুটি সেঞ্চুরিই ক্রিস গেইলের। ২০১৬ বিশ্বকাপের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ বলে সেঞ্চুরির আগে ২০০৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গেইল। এবার এই রেকর্ড ভাঙতে পারে। গত ফেব্রুয়ারিতে ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড গড়েছেন নামিবিয়ার ইয়ান নিকোল লফটি-ইটন। নেপালের বিপক্ষে লফটি-ইটন সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ৩৩ বলে। এবার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। সহযোগী অনেক দেশের সঙ্গেই শক্তিশালী দলগুলো খেলবে। তাই দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনাটা এবার বেশি।

সর্বোচ্চ ক্যাচ

২৩টি ক্যাচ ধরে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ক্যাচ ধরার তালিকায় সবার ওপরে এবি ডি ভিলিয়ার্স। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার, তিনি ক্যাচ ধরেছেন ২১টি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই রেকর্ড ভাঙাও তাই সময়ের ব্যাপার। রোহিত শর্মা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ধরেছেন ১৬টি করে ক্যাচ। তাঁদেরও সুযোগ আছে ডি ভিলিয়ার্সকে ছোঁয়ার।

২০১৪ বিশ্বকাপে ৩১৯ রান করেছিলেন বিরাট কোহলি

এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান

এবারের বিশ্বকাপ অংশ নিচ্ছে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২০টি দল। ফাইনাল পর্যন্ত গেলে সর্বোচ্চ তাই ৯টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতে পারে দলগুলো। যেহেতু ম্যাচ খেলার সংখ্যা বাড়তে যাচ্ছে, তাই বিরাট কোহলির করা ২০১৪ বিশ্বকাপে ৩১৯ রান ভাঙার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেবার কোহলি খেলেছিলেন ৬টি ম্যাচ।

প্রথম দল হিসেবে একসঙ্গে সব আইসিসি ট্রফি জেতার সুযোগ


আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর গত বছরই ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারলে প্রথম দল হিসেবে একসঙ্গে আইসিসির তিনটি ট্রফি নিজেদের ঘরে নিতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন মিচেল মার্শ। বর্তমানে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও অস্ট্রেলিয়া।