ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতকের পর রোহিত
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতকের পর রোহিত

রুটকে ছাড়িয়ে ‘৫০’–এর আরও কাছে রোহিত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি শতক কার? এ নিয়ে আবার প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে নাকি! শচীন টেন্ডুলকার তো সেই কবে থেকেই শীর্ষে বসে আছেন। শচীনের ১০০ শতকের রেকর্ড ভাঙা সম্ভব কি না, সেই আলোচনায় উঠে আসে বিরাট কোহলির নাম।

সব সংস্করণ মিলিয়ে তাঁর শতক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ—৮০টি। কোহলির পর সর্বোচ্চ শতকের তালিকায় নামটা রিকি পন্টিংয়ের—৭১টি। তিনি খেলা ছেড়েছেন সেই ২০১২ সালে। বর্তমানে খেলে যাচ্ছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে কোহলির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শতক কার?

এমন তালিকা করলে সবার আগে আসবে ডেভিড ওয়ার্নারের নাম। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ওয়ার্নারের শতক ৪৯টি। ওয়ার্নারের শতকসংখ্যা খুব বেশি বাড়ানো আর সম্ভব নয়। কারণ, এরই মধ্যে টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন ওয়ার্নার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে ছাড়বেন টি-টোয়েন্টিও। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ওয়ার্নারের শতক প্রায় সমান। টেস্টে তিনি শতক করেছেন ২৬টি, ওয়ানডেতে ২২টি। আর বাকি শতকটি এসেছে টি-টোয়েন্টিতে।

ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার আন্তর্জাতিক শতক ৪৭টি। আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতক করে নিজের শতকসংখ্যাকে ৪৭–এ নিয়ে গেছেন রোহিত। ছাড়িয়ে গেছেন ৪৬ শতকের মালিক জো রুটকে।

রোহিতের বেশির ভাগ শতকই এসেছে ওয়ানডেতে—৩১টি। টেস্টে রোহিতের শতক ১১টি, আর টি-টোয়েন্টিতে ৫টি। ইংলিশ ব্যাটসম্যান রুটের মোট শতকের ৩০টিই এসেছে টেস্টে। বাকি ১৬টি ওয়ানডেতে। অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথের গল্পটাও এমন। তাঁরও বেশির ভাগ শতক এসেছে টেস্টে। ৪৪টি শতকের মধ্যেও এই টেস্ট ওপেনারের ৩২টি শতকই এসেছে টেস্ট। বাকি ১৪টি ওয়ানডেতে।

কেইন উইলিয়ামসনেরও শতকসংখ্যা ৪৪টি। নিউজিল্যান্ডের উইলিয়ামসনের টেস্ট শতক ৩১টি, ১৩টি টেস্টে। তবে এদের প্রায় প্রত্যেকের ক্যারিয়ার প্রায় শেষ দিকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো অনেক বছর খেলতে পারেন এমন ক্রিকেটারের মধ্যে সর্বোচ্চ শতক পাকিস্তানের বাবর আজমের। ২৯ বছর বয়সী বাবরের শতক ৩১টি।