ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীতে খেলছেন লিটন দাস
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীতে খেলছেন লিটন দাস

‘আবাহনীতে কারও জায়গা নিশ্চিত নয়’

রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন দাস ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ না খেলে বিশ্রাম নিয়েছেন। সুপার লিগ থেকে আবাহনীর হয়ে খেলার সম্ভাবনা আছে তাঁর। তবে শিরোপাপ্রত্যাশী দলটির কোচ খালেদ মাহমুদ আজ বলেছেন আবাহনীর একাদশে লিটনের জায়গা করে নেওয়া সহজ হবে না। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের তারকায় ঠাসা আবাহনীর শক্তিমত্তা বোঝাতে মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দলটা যথেষ্ট শক্তিশালী, যথেষ্ট না অনেক শক্তিশালী। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এ রকম এত শক্তিশালী দল কবে ছিল আমার মনে পড়ে না।’

তারকায় ঠাসা দল নিয়ে প্রত্যাশিত ফলও পাচ্ছে আবাহনী। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে সব কটিতেই জিতেছে আবাহনী। স্বাভাবিকভাবেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে দলটি। এ কারণেই নাকি লিটনকে বিশ্রাম দিতে পারছে দলটি, ‘লিটন একটা ব্রেক চেয়েছে। তার দিনে লিটন ওয়ান অব দ্য বেস্ট প্লেয়ার। আমি সব সময় লিটনের ব্যাটিং অনেক পছন্দ করি। ওর ব্যাটিং দেখা অন্য রকম ব্যাপার। মেন্টালি হয়তো ব্লক আছে। রান করেনি। যদি আমার ওই ফ্লেক্সিবিলিটি না থাকত তাহলে হয়তো আমি লিটনকে এই ব্রেকটা দিতাম না। ফ্লেক্সিবিলিটি আছে, আমাদের যে ব্যাটিং অর্ডার…আমি মনে করি একটা ব্রেক নিয়েই আসুক। তাকে সুপার লিগ থেকে পাব আশা করছি।’

আবাহনী এখন জাতীয় দল থেকেও ভালো! আমি কালকে শান্তকে হাসতে হাসতে বলছিলাম, তোর জাতীয় দল থেকে আমার আবাহনী এখন শক্তিশালী।
খালেদ মাহমুদ, কোচ, আবাহনী

তবে প্রিমিয়ার লিগে ফিরলেও একাদশে জায়গা পাওয়া সহজ হবে না, সে আভাসও দিয়েছেন মাহমুদ। তাঁর কথা, ‘আগে কাজটা সহজ ছিল। এখন আর সহজ নেই। আবাহনী এখন জাতীয় দল থেকেও ভালো! আমি কালকে শান্তকে হাসতে হাসতে বলছিলাম, তোর জাতীয় দল থেকে আমার আবাহনী এখন শক্তিশালী। সুতরাং যারা আবাহনীর জন্য প্রতিদিন অনুশীলন করছে, পারফর্ম করছে, তাদের ফেলে দেওয়া সহজ নয়।’

মোসাদ্দেকের সঙ্গে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ

মাহমুদ পরে অবশ্য বললেন সম্ভাব্য সেরা একাদশই বেছে নেবেন তাঁরা, ‘লিটন দেশসেরা ব্যাটসম্যান। ওর জন্য হয়তো দরজাটা খোলা আছে। যদি দলের ওই রকম প্রয়োজন পড়ে, অবশ্যই লিটন…সে আবাহনীর হয়ে অনেক বছর ধরে খেলছে। পারফর্ম করছে। যদিও আমরা তাকে সর্বশেষ দুই বছর অনেক কম পেয়েছি। খেলাতে পারিনি, খেলতে পারেনি। আমি মনে করি ওরা পেশাদার। আমি আমার সেরা দলটাই বেছে নেব। শান্ত এসেছে। মোসাদ্দেক খুবই ভালো ছিল শেষ ৮ ম্যাচে। আমরা সম্ভাব্য সেরা দলটাই বেছে নেব। দিন শেষে আমি চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’

আবাহনীতে কারও জায়গা নিশ্চিত নয়, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মাহমুদ, ‘আমি তো বললাম, আবাহনীতে কারও জায়গা নিশ্চিত নয়। আমি খুবই পেশাদার। আবাহনী অনেকে টাকা দেয়। অন্য প্রিমিয়ার লিগ দল থেকে বেশি টাকা দিই বলে ওরা আবাহনীতে খেলে। লিটন দাস, মোসাদ্দেক সৈকত, নাজমুল শান্ত, সাইফউদ্দিন, ওরা কিন্তু আবাহনীতে অনেক বছর খেলছে। ওরা কিন্তু যেতেও চায় না। তারা আবাহনীতে থাকতে চায়। অনেক কিছুই আছে। কিন্তু আমি যখন আবাহনীর জন্য কাজ করি, তখন আমিও পেশাদার হয়ে কাজ করি। আমার খেলোয়াড়দের জন্য আলাদা একটা অনুভূতি আছে। ওদের আমি প্রচণ্ড ভালোবাসি। কিন্তু যখন দলের ব্যাপার আসবে, সেখানে আবাহনী প্রথম।’