দুই স্পিনার নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান মাঝে লড়াইটা না করলে ভারতের স্কোর হতে পারত আরও বেশি। আবার বাংলাদেশের ধারাবাহিক হতশ্রী ফিল্ডিংয়ের প্রদর্শনীটা আজও না চললে ভারত আটকে যেতে পারত আরও আগেই। সিলেটে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে শেষ পর্যন্ত টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে সফরকারীরা তুলেছে ১৫৬ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের এটি এখন তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
পাওয়ারপ্লেতে ভারত তোলে ৫১ রান, এর মধ্যে ২৬ রানই আসে শেষ ২ ওভারে। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ১০০তম ম্যাচ খেলা শেফালি বর্মাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন সুলতানা, কিন্তু স্মৃতি মান্ধানা ছুটতে শুরু করেন, তখন থেকেই।
পাওয়ারপ্লের পর অবশ্য আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের গতিটা কমাতে পারেন নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান। নিজের প্রথম ওভারে সফল নাহিদা, পেছনের পায়ে ভর দিয়ে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু হন স্মৃতি। ঠিক পরের বলে দয়ালান হেমলতার উইকেটও পেতে পারত বাংলাদেশ, রাবেয়ার বলে লং অফে ফারিহা ইসলাম সহজতম ক্যাচ ফেলায় সেটি হয়নি। ১ বল পর হেমলতা আবার ক্যাচ তুলেছিলেন, সেবার অবশ্য ঠিক নাগাল পাননি শরিফা। শুরুতে শেফালি ও স্মৃতিও দিয়েছিলেন এমন সুযোগ।
হেমলতা ঠিক স্বচ্ছন্দে ছিলেন না, তখন অধিনায়ক হারমানপ্রীতও নতুন। একে তো ক্যাচ ফেলা, সঙ্গে মিসফিল্ডে ভারতকে বাউন্ডারি উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বর্ণা আগেই বৃত্তের ভেতর অমন ফিল্ডিং মিস করেছিলেন, পরে মিড উইকেটে বাউন্ডারি দেন রাবেয়া। সেটি ছিল ৪ ওভারের মধ্যে প্রথম বাউন্ডারি। পরের ২৩ বলে আসে ৪৪ রান, মিসফিল্ডের শাস্তিই যেন তখন বাংলাদেশকে দিচ্ছিলেন হেমলতা ও হারমানপ্রীত।
দুজনের ৬০ রানের জুটি ভাঙেন নাহিদা, হারমানপ্রীতকে আউট করে। সহ-অধিনায়ক স্মৃতির পর অধিনায়ক হারমানপ্রীত—দুজনই এলবিডব্লু নাহিদার বলে।
নাহিদার সে উইকেটের পর রাবেয়ার জোড়া উইকেটের ওভারে ম্যাচে বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। হেমলতার পর সজীবন সাজানাকে ফেরান রাবেয়া। সে সময় ২ রানের মধ্যে ভারত হারায় ৩ উইকেট। এরপর অবশ্য দীপ্তি শর্মাকে নিয়ে রিচা ঘোষের ২৫ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভারত ঠিকই ১৫০ পেরোয়। তাতে বাংলাদেশের আফসোসটা স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে আরেকটু।
ভারত নারী দল: ২০ ওভারে ১৫৬/৫ (স্মৃতি ৩৩, কৌর ৩০, হেমলতা ৩৭, রিচা ২৮*; রাবেয়া ২/২৮, নাহিদা ২/২৭, সুলতানা ১/২৬)।