সেঞ্চুরি করেছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন (বাঁয়ে) ও ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন দলটি স্পিনার আশরাফুল হাসান
সেঞ্চুরি করেছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন (বাঁয়ে) ও ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন দলটি স্পিনার আশরাফুল হাসান

শাহাদাতের সেঞ্চুরি, আশরাফুলের ৬ উইকেট—তিন দিনেই জয় চট্টগ্রামের

গত মার্চের পর জাতীয় দলে নেই শাহাদাত হোসেন। বাংলাদেশ ‘এ’, জাতীয় ক্রিকেট লিগেও রান পাচ্ছিলেন না। অবশেষে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে রানের দেখা পেলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অধিনায়ক শাহাদাত। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৪৯ বলে ১১৬ রানের ইনিংস। এরপর চট্টগ্রামের ১৯ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার আশরাফুল হাসান ৬ উইকেট নিলে বরিশাল অলআউট হয় ৭৭ রানে।

চট্টগ্রামের জয়

কক্সবাজারে বরিশালের বিপক্ষে গতকাল দ্বিতীয় দিনের খেলায় ফিফটি করে বড় ইনিংসের আভাস দিচ্ছিলেন চট্টগ্রামের দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শাহাদাত ও ইয়াসির আলী। আজ ইয়াসির ৯৯ রানে আউট হয়ে নিশ্চিত সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। শাহাদাত সে ভুল করেননি। আউট হওয়ার আগে তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয় সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন। তাঁর ১১৬ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ৩১৩ রানে থামে চট্টগ্রাম।

এরপর প্রথম ইনিংসে ৩১৮ রান করা বরিশালের ব্যাটিংয়ে ধস নামান তরুণ স্পিনার আশরাফুল হাসান। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া ১৯ বছর বয়সী তরুণ দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৬ উইকেট, রান দিয়েছেন মাত্র ২২। ৭৭ রানে অলআউট হয় বরিশাল। তাতে চতুর্থ ইনিংসে চট্টগ্রামের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৮৩ রান, যা ১১.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় চট্টগ্রাম।

সেঞ্চুরির পথে শাহাদাত হোসেন

ফলো অনে খুলনা

পাশের মাঠেই সিলেট বিভাগের ৭ উইকেটে ৪৯৬ রানে ইনিংস ঘোষণার পর খুলনা বিভাগ আজ অলআউট হয়েছে ২৭৩ রানে। জানা গেছে, ২২৩ রানে পিছিয়ে থাকা খুলনাকে ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেট। বিশাল রানের চাপে পড়া খুলনার হয়ে আজ লড়াই করেছেন ফর্মে থাকা ওপেনার এনামুল হক। ১৩১ বল খেলে ৮৮ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। জাতীয় লিগে ফিরে ফিফটি করেছেন আফিফ হোসেন। ১০৮ বলে ৫৩ রানে আউট হয়েছেন তিনি। সিলেটের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ ও নাবিল সামাদ।

ঘরের মাঠে বিপদে রাজশাহী

রাজশাহীর শেখ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে রংপুরকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দিয়েছেন অধিনায়ক আকবর আলী। প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রানে অলআউট হওয়ার পর রাজশাহীও তাদের প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রান করে। আজ রংপুর তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২৬২ রান, সর্বোচ্চ ৭৭ রান আসে আকবরের ব্যাট থেকে। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ২৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজশাহী দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে করেছে ৬২ রান। শেষ দিন জয়ের জন্য রাজশাহীর দরকার ২০১ রান, হাতে আছে ৪ উইকেট।

জমে উঠেছে দুই ঢাকার লড়াই

ঢাকা বিভাগের হয়ে ব্যাট হাতে ৮২ রা্ন করেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মহানগরের ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে ১৭৫ রানে এগিয়ে আছে মহানগর। হাতে আছে আরও ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে মহানগরের ৩০৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ঢাকা বিভাগ ৩১৫ রান করে। ৯ রানের লিড পেলেও আজ আমিনুল ইসলামের ৮২ রানের সৌজন্যে দিন শেষে ৬ উইকেটে করেছে ১৮৬ রান। অপরাজিত আছেন তরুণ উইকেটকিপার তাহজিবুল ইসলাম (৩১) ও আবু হায়দার (২)।