আগামী বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কোথায় হবে, পাকিস্তান, নাকি অন্য কোথাও? এত দিন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল এটাই। কিন্তু আজ আইসিসির এক ভার্চ্যুয়াল সভা কোনো রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হওয়ার পর প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক—চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কি আদৌ হবে?
বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া ভার্চ্যুয়াল সভায় অংশগ্রহণ করার কথা আইসিসির পূর্ণ সদস্য ১২টি বোর্ডের প্রতিনিধি, তিনটি সহযোগী সদস্য বোর্ডের প্রতিনিধি, একজন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক, আইসিসির চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহীর।বাংলাদেশ থেকে এতে অংশ নেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
তবে সভাটি কারও জন্যই খুব স্বস্তিকর ছিল বলে মনে হয় না। ইএসপিএন-ক্রিকইনফো জানিয়েছে, মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই কোনো রকম সিদ্ধান্ত ছাড়া সভা শেষ হয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, আগামীকাল ৩০ নভেম্বর আবার সভা হওয়ার কথা।
যদিও ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ও ক্রিকবাজসহ ভারতেরই আরও কিছু সংবাদমাধ্যম লিখেছে, আগামীকাল নয়, আসছে সপ্তাহের কোনো এক সময় হতে পারে সভাটি। এ ব্যাপারে আইসিসি আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের বোর্ডকে আরও কিছুটা সময় দিতে চাইছে আইসিসি।
পাকিস্তানের লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি–মার্চে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার কথা। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতে আইসিসিকে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, তাদের সরকার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে ভারতীয় দলকে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
আপাতত তিনটি পথ খোলা আইসিসির সামনে। ১. হাইব্রিড মডেল ২. পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তান থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া এবং ৩. ভারতকে বাদ দিয়ে পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানেই আয়োজন করা।
সর্বশেষ এশিয়া কাপের মতো এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। যেখানে মূল টুর্নামেন্ট হবে পাকিস্তানে, ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলবে নিরপেক্ষ কোনো দেশে। আয়োজনের স্বত্ব থাকবে পাকিস্তানেরই।
তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পুরো টুর্নামেন্টই নিজেদের দেশে আয়োজন করতে চায়। আইসিসি এতে পড়েছে মহা ঝামেলায়। পাকিস্তান রাজি না হলে আইসিসির পক্ষে এই টুর্নামেন্ট হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা কঠিন। আয়োজক দেশের অনুমতি ছাড়া টুর্নামেন্ট হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া আজকের ভার্চ্যুয়াল সভা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আইসিসি অনড় অবস্থানে চলে যাওয়া দুই দেশকে আরও কিছুটা সময় দিতে চায়। এর সঙ্গে অন্য বোর্ডগুলোর কাছ থেকেও মতামত জানতে চাইবে। আগামী ১ ডিসেম্বর জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর পরবর্তী বৈঠকটি হতে পারে বলে ভারতীয় আরেকটি দৈনিক লিখেছে।
আপাতত তিনটি পথ খোলা আইসিসির সামনে। ১. হাইব্রিড মডেল ২. পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তান থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া এবং ৩. ভারতকে বাদ দিয়ে পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানেই আয়োজন করা। ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর, এর মধ্যে হাইব্রিড মডেলই আইসিসির সর্বোচ্চ পছন্দ। দরকার হলে এর জন্য পাকিস্তানকে বড় রকমের ক্ষতিপূরণও দিতে রাজি আইসিসি।
আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, এখন সেটিই দেখার অপেক্ষা।