সর্বশেষ ১০ ওয়ানডেতে অষ্টমবারের মতো পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক
সর্বশেষ ১০ ওয়ানডেতে অষ্টমবারের মতো পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জয়

রান করেই যাচ্ছেন বাবর

প্রতিপক্ষ, কন্ডিশন,সংস্করণ, সব বদলায়, শুধু বদলান না বাবর আজম। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানের ইনিংস খেলার পর রটারডামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেললেন ৫৭ রানের ইনিংস। এ নিয়ে সর্বশেষ ১০ ওয়ানডেতে অষ্টমবারের মতো পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। রান পেয়েছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানও। বোলারদের দাপটের পরে ব্যাটসম্যানদের এমন কার্যকরী ইনিংসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। সঙ্গে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে নিশ্চিত করেছে তিন ম্যাচের সিরিজ জয়ও।

ওয়ানডেতে ১০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন রিজওয়ান


বাবর, রিজওয়ানরা অর্ধশতক পেলেও পাকিস্তানের জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন বোলাররা। যার শুরুটা হয় এই সিরিজেই ওয়ানডেতে অভিষিক্ত পেসার নাসিম শাহর হাত ধরে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই দারুণ এক ডেলিভারিতে আউটসাইড এজের ফাঁদে ফেলে বিক্রমজিৎ সিংকে ফেরান তিনি। ম্যাক্স ও’ডাউড ও ওয়েসলি বারেসিও ফেরেন শুরুতেই। নাসিম শাহ ও হারিস রউফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৮ রানেই ৩ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। তবে বাস ডি লিডিও ও টপ কুপারের প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। এ জুটিতে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন টম কুপার। যদিও নাসিমের বলে একবার আউট হলেও আম্পায়ার নো বল ডাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। দলীয় ১১৭ রানে মোহাম্মদ নওয়াজের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুপার।

বাস ডি লিডিও শুরু থেকেই খেলতে থাকেন রয়েসয়ে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হন তিনি। শেষ পর্যন্ত সঙ্গীর অভাবে শতক পাননি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন ৮৯ রানে। ব্যাস দে লিড ও টম কুপারের ১০৯ রানের জুটি তাঁদের বড় সংগ্রহের আশা জাগালেও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। ৪৪.১ ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।

নেদারল্যান্ডসকে মাত্র ১৮৭ রানে অলআউট করে দেয় পাকিস্তান

পাকিস্তানের হয়ে খুশদিল শাহ ছাড়া উইকেট পেয়েছেন এই ইনিংসে বল করা সব বোলার। হারিস রউফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। নাসিম শাহ নিয়েছেন ২ উইকেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন নওয়াজ।

১৮৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফিরে যান পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম উল হক। দুটি উইকেটই নিয়েছেন ভিভিয়ান কিংমা। পরে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটি পাকিস্তানকে ঝুঁকিমুক্ত করে। ৫৭ রান করে বাবর ফিরে গেলেও আগা সালমানকে নিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। ফিফটির দেখা পেয়েছেন সালমানও। রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৬৯ রানে।