দুর্নীতির দায়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্লাব ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদকে ১৭ বছর ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিবিরোধী পাঁচটি ধারা ভেঙেছেন তিনি।
২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগে দুর্নীতির চেষ্টার কারণে বাংলাদেশের নাসির হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল আইসিসি। সেখানে ছিল জাভেদেরও নাম। সে অভিযোগের ভিত্তিতে গত মাসে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় বাংলাদেশ অলরাউন্ডার নাসিরকে। এবার জাভেদকে শাস্তি দেওয়া হলো।
গত সেপ্টেম্বরে অভিযোগ গঠনের পর ১৪ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছিল। তবে জাভেদ জবাব দেননি। ফলে যেসব অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল, সেগুলো তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে ধরে নেওয়ার পর জাভেদকে শাস্তি দিয়েছেন আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট কমিটির প্রধান মাইকেল যে বেলোফ।
রিজওয়ান যেসব ধারা ভেঙেছেন—
২.১.১
২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগে ম্যাচ বা ম্যাচের কোনো দিক গড়াপেটার উদ্যোগ বা আয়োজনের অংশ থাকা (তিনটি আলাদা ক্ষেত্রে)।
২.১.৩
দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হতে অন্য এক খেলোয়াড়কে পারিতোষিক দেওয়ার প্রস্তাব।
২.১.৪
২.১ নম্বর ধারা ভাঙতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অংশগ্রহণকারীকে অনুরোধ, প্ররোচনা, প্রলুব্ধ, নির্দেশনা, পটানো বা উৎসাহ দেওয়া কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা করে দেওয়া।
২.৪.৪
ধারার অধীনে দুর্নীতিমূলক আচরণ বলে বিবেচিত কোনো কাজে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার বিস্তারিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া।
২.৪.৬
ন্যায্য কোনো কারণ ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তদন্ত চালিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়া বা অস্বীকার করা।
গত সেপ্টেম্বরে অভিযোগ গঠন করার সময় ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল জাভেদকে। তাঁর দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা শুরু ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
জাভেদের শাস্তির ব্যাপারে আইসিসির নৈতিকতাবিষয়ক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচে বারবার এবং বড় আকারে দুর্নীতি করার চেষ্টার কারণে রিজওয়ান জাভেদকে দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তিনি অনুতাপ বা আমাদের খেলা রক্ষায় যে নিয়ম আছে, সেগুলোর প্রতি কোনো সম্মান দেখাননি।’
মার্শালের আশা, ক্রিকেটকে লক্ষ্য করে অন্য যে দুর্নীতিবাজরা এগোচ্ছেন, তাঁদের প্রতি জাভেদের শাস্তিতে কঠোর বার্তা যাবে।