‘অধিনায়কত্বের বোঝা’টা নাকি সূর্যকুমার যাদব ড্রেসিংরুমেই রেখে মাঠে নেমেছিলেন। সে কারণেই এমন ইনিংসটা খেলতে পেরেছেন তিনি।
গতকাল বিশাখাপট্টনমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাঁর ৪২ বলে ৮০ রানের ইনিংসেই ২০৮ রান তাড়া করে দারুণ এক জয় পেয়েছে ভারত। বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের মাত্র চার দিন পর ফাইনালেরই প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই জয় ভারতের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ হয়ে এসেছে। টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েই সূর্যকুমার খেললেন এই ইনিংস। যে ইনিংসে তাঁর কাছে ম্লান শতরান করা জশ ইংলিস।
ভারতের অধিনায়কত্বে কালই অভিষেক হয়েছে সূর্যকুমারের। তাঁর ব্যাটিং দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি তিনি প্রথমবার অধিনায়কত্ব করছেন। এত নির্ভার থাকতে পারার রহস্যটা ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন ভারতের ‘টি–টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’, ‘আমার খুব গর্বের মুহূর্ত এটি। আমি যখন থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছি। অধিনায়কত্ব হাতে এসেছে। সেটির একটা ওজন আছে। আমি সেই অধিনায়কত্বের বোঝাটা ড্রেসিংরুমে রেখে মাঠে নেমেছিলাম। আমি মাঠে নেমে শুধু নিজের ব্যাটিংটা উপভোগ করতে চেয়েছি।’
শুধু সূর্যকুমারই নন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাল দারুণ খেলেছেন ঈশান কিষানও। তিনি করেছেন ৫৮ রান। শেষ দিকে রিংকু সিংয়ের ১৪ বলে অপরাজিত ২২ রানের ইনিংসে ভারতের জয় নিশ্চিত হয়েছে। পেয়েছে ২ উইকেটের জয়।
সূর্য তাঁর সতীর্থদেরও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, ‘দলের বাকি খেলোয়াড়েরা যেভাবে স্নায়ু ধরে রেখে লড়েছে, সেটি দুর্দান্ত। পরিস্থিতিটা একেবারে রিংকুর উপযোগী ছিল। সে যে ধরনের পরিস্থিতিতে ভালো খেলে, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে নেমে নিজের কাজটা করে দিয়েছে।’
বাংলার পেস বোলার মুকেশ কুমারের বোলিং নিয়েও কথা বলেছেন সূর্যকুমার। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শেষ ওভারটিতে বল করতে এসে মুকেশ একের পর এক ইয়র্কার দিয়ে রানের লাগামটা ধরে রেখেছিলেন। তিনি সেই ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ যদি ২০৮ থেকে বেড়ে যেত, সেটি তাড়া করা কঠিন হতো ভারতের জন্য। সূর্যকুমার মুকেশের ব্যাপারে বলেছেন, ‘মুকেশের শেষ ওভারটির বিরাট প্রভাব আছে। আমাদের দলের তিন পেসারই ১৬তম ওভারের পর ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছে। নয়তো অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ আরও বাড়তে পারত।’
২০৮ রান তাড়া করাটাও যথেষ্ট কঠিন। কীভাবে সম্ভব হলো এটি! সূর্য বলেছেন, ‘আমি কিষানকে বলেছিলাম, লক্ষ্য নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। শুধু নিজের ব্যাটিংটা করে যাও। আমরা ইতিবাচক চিন্তা করেছি সব সময়ই। ১০ ওভারের পর সবকিছু সহজ হয়েছে। ৬০ বলে ১০০ রান, আইপিএলে প্রতি দুই ম্যাচের একটিতে করি আমরা।’