মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলি লম্বা সময় একসঙ্গে খেলেছেন। ধোনির অধিনায়কত্বে কোহলি যেমন নিজেকে মেলে ধরেছেন, তেমনি কোহলির নেতৃত্বে খেলে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন ধোনি। মাঠে অধিনায়ক হিসেবে ধোনির শান্ত মেজাজের বিপরীতে কোহলি কিছুটা আগ্রাসী হলেও মাঠে দুজনের রসায়নটা ছিল দারুণ। মাঠের বাইরেও তা–ই।
মাঝে লম্বা সময় ধরে যখন নিজের ফর্ম নিয়ে ধুঁকছিলেন কোহলি, তখনো ধোনিকে পাশে পেয়েছিলেন। এমনকি সে সময় নিজের পরিবারের বাইরে একমাত্র ধোনিই তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন কোহলি।
যে ধোনিকে ফোনে পাওয়ায় মুশকিল, সেই ধোনি নিজে থেকে কোহলির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে সাহস দিয়েছিলেন। ধোনির কথা কীভাবে উজ্জীবিত করেছিল, তা–ও জানিয়েছেন কোহলি।
নিজের বাজে সময়ে ধোনি কীভাবে সাহস দিয়েছিলেন, তা জানাতে গিয়ে কোহলি বলেছেন, ‘তখন পুরোটা সময় ধরে আনুশকা আমার পাশে ছিল। সে আমার শক্তির সবচেয়ে বড় উৎস ছিল। কারণ, পুরো সময়টাতে সে আমার সঙ্গে ছিল। সে আমাকে খুব কাছ থেকে দেখেছে যে আমি কেমন অনুভব করি এবং কিসের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমার পরিবার এবং শৈশবের কোচকে বাদ দিলে যে মানুষটি সত্যিকার অর্থে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তিনি হলেন এমএস ধোনি।’
ধোনির সঙ্গে কোহলি ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১ বছর ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন। এমনিতে ধোনিকে ফোনে পাওয়া কতটা কঠিন, সেটা মনে করিয়ে দিয়ে ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি বলেছেন, ‘সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু আপনি তাকে খুব সহজে খুঁজে পাবেন না। এমনিতে তাকে যেকোনো সাধারণ দিনে ফোন করলে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে সে ফোন ধরবে না। এর কারণ হচ্ছে, সে ফোনের দিকে তাকায় না। সে আমাকে বলেছিল, “যখন আশা করা হয় যে আপনি শক্তিশালী হবেন এবং আপনাকে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়, মানুষ জিজ্ঞেস করতে ভুলে যায় যে আপনি কেমন আছেন?’
ধোনির কথা কীভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল, তা জানাতে গিয়ে কোহলি আরও বলেছেন, ‘তার কথা আমাকে বেশ ধাক্কা দেয়। আমাকে সব সময় এমন একজন মানুষ হিসেবে দেখা হয়েছে, যে কিনা খুব আত্মবিশ্বাসী, মানসিকভাবে শক্তিশালী, যেকোনো সমালোচনা সহ্য করতে পারে, পথ খুঁজে বের করে নিতে পারে এবং পথ দেখাতে পারে। মাঝেমধ্যে জীবনের কোনো এক পর্যায়ে মানুষ হিসেবে আপনার কয়েক কদম পেছনে যাওয়ার দরকার হতে পারে। বোঝা উচিত আপনি কেমন আছেন, আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক আছে কি না।’