অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক সব সময় বড় মঞ্চের পারফরমার। ওয়ানডে বিশ্বকাপ হোক কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এলেই তিনি জ্বলে ওঠেন। পরিসংখ্যানও কথা বলছে স্টার্কের পক্ষে। যেমন আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন স্টার্ক।
বাংলাদেশ ওপেনার তানজিদ হাসানকে বোল্ড করে বিশ্বকাপে ৯৫ উইকেটের মালিক হয়েছেন স্টার্ক, যা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে সর্বোচ্চ। এর মধ্য দিয়ে স্টার্ক ছাড়িয়ে গেছেন ৯৪ উইকেট নেওয়া শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে স্টার্ক ম্যাচ খেলেছেন ৫২টি। এর মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২৮। মাত্র ২৮ ম্যাচ খেলেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৬৫টি উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। সেদিক থেকে স্টার্কের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রেকর্ড কিছুটা ম্লান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টার্কের উইকেট ৩০টি, ম্যাচ খেলেছেন ২৪টি।
মালিঙ্গা বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলেছেন ৬০টি। ৯৪ উইকেটের মালিক মালিঙ্গা ৫৬টি উইকেট নিয়েছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মালিঙ্গা উইকেট নিয়েছেন ৩৮টি। মালিঙ্গা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ৪ বছর আগে। ফলে উইকেট শিকারের এ লড়াইয়ে স্টার্ক এখন পুরোপুরি একা।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তিন নম্বরে আছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ৭৭ ম্যাচে সাকিবের উইকেট ৯২। সাকিবের অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই উইকেটের সংখ্যা বেশি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের উইকেট ৪৯, যা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিবের উইকেট ৪৩টি। সাকিবও আছেন ক্যারিয়ারেও শেষ পর্যায়ে। হতে পারে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই সাকিবের শেষ বিশ্বকাপ। তাই স্টার্ককে ছাড়িয়ে যাওয়া সাকিবের জন্য একটু কঠিনই।
তালিকায় পরের নামটা নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্টের। বিশ্বকাপে ৪৭ ম্যাচে ৮৭ উইকেট বোল্টের। এই বাঁহাতি পেসার ওয়ানডে বিশ্বকাপে উইকেট নিয়েছেন ৫৩টি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৪টি। বোল্ট এখনো অবসর না নিলেও তাঁকে আর বিশ্বকাপে দেখা যাবে না। গত ১৫ জুন উগান্ডা ম্যাচ শেষে এই পেসার জানিয়েছেন, এটাই তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অর্থাৎ ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে না তাঁকে। আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে ২০২৭ সালে। এক বছর আগের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই যেহেতু খেলবেন না, তাই ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও যে বোল্টকে দেখা যাবে না, তা ধরে নেওয়াই যায়।
তালিকার পাঁচ নম্বরে আছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। বিশ্বকাপে মুরালি ৪৯ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৭৯টি। স্বাভাবিকভাবেই মুরালির ওয়ানডে বিশ্বকাপে উইকেট বেশি—৬৮টি। দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা মুরালির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন। ২০১০ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলা এই স্পিনার সব মিলিয়ে এই সংস্করণে ১২ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। অর্থাৎ শীর্ষে থাকা পাঁচজনের মধ্যে একমাত্র সাকিবেরই ওয়ানডে বিশ্বকাপের তুলনায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেট বেশি।