প্রশ্নটা উঠছে গত নভেম্বরেই। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। অনুকূল পরিবেশেও বিশ্ব আসরে দলীয় ব্যর্থতায় অন্যতম দায় পড়েছিল ডেভিড ওয়ার্নারের কাঁধে। প্রশ্ন ওঠে, বয়স ৩৬ পার করে ফেলা এই ওপেনার এরপরও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাবেন কি না।
উত্তরটা আজ পরিষ্কার ভাষাতেই দিয়েছেন ওয়ার্নার। তিনি জানিয়েছেন, এখনই থামার ইচ্ছা নেই তাঁর। নির্বাচকেরা সুযোগ দিলে কোন পর্যন্ত খেলে যেতে চান, দিয়েছেন সেই ধারণাও।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে ওয়ার্নারের অভিষেক টি-টোয়েন্টি দিয়ে। তাঁর খেলার ধরনও ভালো মেলে সংক্ষিপ্ততম সংস্করণটির সঙ্গেই। গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের হয়ে ব্যস্ত থাকেন বলে ২০১৩ সালের পর থেকে বিগ ব্যাশে খেলা হয় না। তবে নিয়মিতই খেলে থাকেন ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলে।
ওয়ার্নার চান, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন। আর সেই লক্ষ্যে এবার মনোযোগ দিয়েছেন বিগ ব্যাশে। আগামীকাল সিডনি থান্ডারের হয়ে খেলতে নামবেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগটিতে সর্বশেষ খেলেছিলেন ৯ মৌসুম আগে।
আগামী মাসে ভারতের মাটিতে চার টেস্টের বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজের আগে থান্ডারের হয়ে ৫ ম্যাচ খেলবেন ওয়ার্নার। আজ দলটির হয়ে অনুশীলনে অংশ নেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সেখানে ইঙ্গিত দেন, এ বছর ক্রিকেটের এক বা একাধিক সংস্করণ থেকে অবসর নিতে পারেন, ‘থান্ডারের সঙ্গে এ বছর এবং আগামী বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। কিছু অবদান রাখার জন্য এটুকু সময়ই আমার হাতে আছে। খুব সম্ভবত এটিই আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ বছর।’
এ বছরের জুনে টেস্ট সংস্করণে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং ওয়ানডে সংস্করণে অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ আছে। তবে টি-টোয়েন্টির বড় আসর আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
‘এটিই শেষ বছর’ বলার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার কথা স্পষ্ট করেই বলেছেন ওয়ার্নার, ‘২০২৪ বিশ্বকাপের দিকেও আমার দৃষ্টি আছে। আমেরিকার মাটিতে বড় জয় দিয়ে শেষ করতে পারাটা দারুণ ব্যাপার হবে। অবশ্য বিষয়টি নির্বাচকদের ওপর নির্ভর করছে।’