সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে থেকে, শেষ করলেন এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে বাজে র্যাঙ্কিংয়ে নেমে। বাংলাদেশের বাঁহাতি অলরাউন্ডারের নাম এখন আইসিসি টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারের ৬ নম্বরে। ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের পর গত ১২ বছরে তিনি কখনো পাঁচের নিচে ছিলেন না।
সাকিবের শীর্ষ পাঁচ থেকে ছিটকে যাওয়ার সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের এক নম্বর জায়গা হারিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতের এই ব্যাটসম্যানকে সরিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ট্রাভিস হেড।
সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ৪ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ। অলরাউন্ডারদের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠেছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
সূর্যকুমার যে ছন্দে নেই, এমনটা নয়। এবারের বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত খেলছেন সূর্য। যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছেন। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ১৫ বলে রান করেছেন ৩১। হেডের (৮৪৪) রেটিং পয়েন্টও সূর্যর (৮৪২) চেয়ে খুব বেশি নয়। এই বিশ্বকাপেই হেডকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগও পাবেন সূর্য।
কারণ, বিশ্বকাপ থেকে এরই মধ্যে বিদায় নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর ভারত উঠে গেছে সেমিফাইনালে। র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ করে নেমে গেছেন ফিল সল্ট (বর্তমানে ৩), বাবর আজম (৪) ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (৫)। দারুণ ছন্দে থাকা আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ আছেন ১১ নম্বরে, এগিয়েছেন ৫ ধাপ। বাংলাদেশের তাওহিদ হৃদয় এগিয়েছেন ৩ ধাপ, আছেন ২৭ নম্বরে। বাংলাদেশিদের মধ্যে তাঁর র্যাঙ্কিংই সেরা।
বল হাতে দুই ধাপ এগিয়েছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। আছেন দুই নম্বরে। তিন ধাপ এগিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছেন জশ হ্যাজলউড। ভারতের কুলদীপ যাদব এগিয়েছেন ২০ ধাপ, উঠে এসেছেন ১১ নম্বরে। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সেরা মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ধাপ পিছিয়ে আছেন ১৮ নম্বরে।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে সাকিব শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে পারফর্ম করায় শীর্ষ স্থান থেকে পাঁচে নেমে গিয়েছিলেন। এরপর নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে পারফর্ম করে দুই ধাপ এগোলেও সুপার এইটে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হওয়ায় (৩ ম্যাচে ১৯ রান ও ১ উইকেট) এখন আবার পিছিয়েছেন ৩ ধাপ।