‘বিরাট কোহলির চেয়ে বাবর আজম কোনো অংশেই কম নন’ অথবা ‘যশপ্রীত বুমরার চেয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি অনেক বেশি ভালো বোলার’ কিংবা ‘ভারতের ফাস্ট বোলারদের মতো বোলার পাকিস্তানে টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলে’—এমন মন্তব্য পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রায়ই শোনা যায়।
ভারতের ক্রিকেটার নিয়ে পাকিস্তানের সাবেকদের নিয়মিত করা এমন নেতিবাচক মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সুনীল গাভাস্কার। মিড ডে পত্রিকায় লেখা এক কলামে এই প্রসঙ্গগুলো তুলে এনেছেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার। এসবের জন্য পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের একপ্রকার ধুয়েই দিয়েছেন গাভাস্কার।
সুনীল গাভাস্কার কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা এসব মন্তব্য সস্তা জনপ্রিয়তা পেতেই করেন, এমনটাই লিখেছেন তিনি। ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান তাঁর কলামে এক জায়গায় লিখেছেন, ‘এসব আসলে ক্রিকেটের কোনো বিষয় নয়। তারা আরও দৃষ্টিকাড়া বা আরও বেশি অনুসারী পেতে এগুলো করে।’
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের মন্তব্য ফলাও করে প্রকাশের জন্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেছেন গাভাস্কার, ‘সীমান্তের ওপারের এই ক্রিকেট-দর্শন ভারতের অনলাইন সংবাদমাধ্যমে দেখাটা হচ্ছে দুঃখজনক ব্যাপার।’
গাভাস্কার এখানেই থামেননি। তিনি লিখেছেন, ‘এটা এখন প্রতিদিনের ব্যাপার হয়ে গেছে যে সীমান্তের ওপারের কোনো সাবেক খেলোয়াড় ভারতের কোনো ক্রিকেটারকে বেছে নিয়ে বলবেন যে পাকিস্তানিরা তার চেয়ে ভালো। তারা জানে, ভারতের সমর্থকেরা তাদের মন্তব্যে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাবে। তারা সেটা করেও, পছন্দের খেলোয়াড়ের পক্ষ নেয়। আর এটা (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) সীমান্তের ওপারের সাবেক খেলোয়াড়দের অনুসারী বাড়ায়।’
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের এসব কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে গিয়ে গাভাস্কার লিখেছেন, ‘ভারতের খেলোয়াড়দের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে অনুসারীর সংখ্যা বাড়ানোর এ কৌশল তারা ব্যবহার করে। কিন্তু কেউ এগুলো পাত্তা দেয় না। আমার চেনাজানা কোনো ভারতীয় সীমান্তের ওপারের খেলোয়াড়দের নিয়ে কিছু বলে না। এটা আমাদের ধাতে নেই।’
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার এমন মন্তব্য থামানোর উপায়ও বাতলে দিয়েছেন গাভাস্কার, ‘সীমান্তের ওপারের লোকেরা কী বলছে, তা যদি আমাদের অনলাইন সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে যায়, তাহলে এমনিতেই এসব বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের সংবাদমাধ্যমে নিজেদের খেলোয়াড়দের নিচু করলেও খবর ছাপবে।’