সেঞ্চুরির পর নিকোলাস পুরানের উড়ন্ত চুমু
সেঞ্চুরির পর নিকোলাস পুরানের উড়ন্ত চুমু

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব

হোপ-পুরানের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বড় জয়

মাঝে ৩৩ ইনিংস টানা উইকেট পেয়েছিলেন, তবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন সন্দীপ লামিচানে। সেই খরা কাটল ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেটে। ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় উইকেট জুটিও ভাঙল তাতে, ১৬তম ওভারে ক্যারিবীয়দের রান তখন ৩ উইকেটে ৫৫। নেপাল চেপে ধরেছিল তাদের, সেটি বলাই যায়।

তবে সে পর্যন্তই। অধিনায়ক শাই হোপ ও নিকোলাস পুরানের দুই সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৩৯ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেপালকে হারিয়েছে ১০১ রানের ব্যবধানে। পাঁচে নামা আরিফ শেখ করেছেন ৬৩ রান, গুলশান ঝার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ বলে ৪২। এ ছাড়া নেপাল ইনিংসে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই তেমন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব টানা দুই জয়েই শুরু করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয়ে শুরু করার পর হারল নেপাল।

নেপালকে লড়াই থেকে ছিটকে দেয় হোপ ও পুরানের জুটিই। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেন ২১৬ রান। ওয়ানডেতে এ নিয়ে দশমবার ২০০ বা এর বেশি রানের জুটি হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের, সর্বশেষটি এসেছিল প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে। চতুর্থ উইকেটে তৃতীয়বার ডাবল সেঞ্চুরির জুটির দেখা পেল ক্যারিবীয়রা।

ফিফটির পর গতি বাড়ান শাই হোপ

হোপ ও পুরান—দুজনই সেঞ্চুরি করেছেন ১০০-পেরোনো স্ট্রাইক রেটে। হোপ ১২৯ বলে ১৩২ রানের ইনিংসে ১০টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছক্কা। ৯৪ বলে ১১৫ রানের ইনিংসে হোপের সমান চারের সঙ্গে পুরান মারেন একটি বেশি ছক্কা। হোপ ফিফটি পেয়েছিলেন ৭৩ বলে, পরের ধাপে ইনিংসের গতি বাড়িয়েছেন তিনি। পুরানও শুরুতে একটু সময় নেন, ফিফটি করতে তাঁর লাগে ৫১ বল। তবে সেঞ্চুরি পান ৮১ বলেই। এ নিয়ে ১৭তম বার একই ইনিংসে দুজন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির দেখা পেলেন।

৪৪তম ওভারে পুরানের উইকেটে ভাঙে হোপের সঙ্গে জুটি। রোভম্যান পাওয়েলের ১৪ বলে ২৯ ও জেসন হোল্ডারের ১০ বলে ১৬ রানের ক্যামিওতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় বড় সংগ্রহ। ৩০ ওভারের স্কোর ওয়ানডেতে ৫০ ওভারে দ্বিগুণ হয়, এমন একটা কথা প্রচলিত আছে। ৩০ ওভারে ১৫০ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে দ্বিগুণের বেশি। শেষ ১০ ওভারে আসে ৯৬ রান।

এমন রান তাড়া করতে গেলে শুরুতেই বড় ইনিংস আর জুটির প্রয়োজন ছিল নেপালের। সেটি তারা করতে পারেনি, উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত। সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে সপ্তম উইকেটে, আরিফ ও ঝায়ের জুটি থেকে। অবশ্য ১৯৭ রানে ৭ উইকেট হারালেও নেপাল অলআউট হয় ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রোস্টন চেজ ছাড়া উইকেটের দেখা পান বাকি ৫ বোলারই। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার হোল্ডার।

৬৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তেজা নিদামানুরুর

দিনের অন্য ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস, যারা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুব কাছে গিয়েও হেরেছিল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা যুক্তরাষ্ট্র ৫০ ওভার খেললেও ৮ ওভারে ২১১ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ছয়ে নামা শায়ান জাহাঙ্গীর ৮৬ বলে করেন সর্বোচ্চ ৭১ রান। ছয় ডাচ বোলারই পান উইকেটের দেখা। রান তাড়ায় ৮৩ রানের ৪ উইকেট হারিয়ে একটু হোঁচট খেয়েছিল নেদারল্যান্ডস। তবে পাঁচে নামা তেজা নিদামানুরুর ৬৮ বলে ৫৮ ও ছয়ে নামা অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের ৬০ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৪০ বল বাকি থাকতেই জয় পায় নেদারল্যান্ডস।