শেষ পর্যন্ত সব অনিশ্চয়তা ও শঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা হলো বাংলাদেশ দলের। সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। ধর্মশালার এই উইকেটে পেস বোলাররাই মূল ভূমিকা পালন করবে, এমন ধারণা করলেও শেষ পর্যন্ত স্পিনাররাই বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে দিল। সৃষ্টিকর্তাকে অশেষ ধন্যবাদ দিতেই হয়। কারণ, অনুপযুক্ত আউটফিল্ডের কারণে দুই দলের কেউ আহত হয়নি।
ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই কিছুটা এলোমেলো মনে হয়েছে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ বলেই হয়তো। তবে ফিল্ডিংয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ধরেছে। সে জন্য বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া যায়। এই বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটসম্যান হতে চাইলে তানজিদকে আরও যত্ন নিয়ে খেলতে হবে। দারুণ সম্ভাবনাময়, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
খারাপ সময় কাটছেই না। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলা অত্যন্ত জরুরি।
ব্যাটিংয়ে কিছুটা ভাগ্যবান। তবে ব্যাটিং-বোলিং সব মিলিয়ে মিরাজের মধ্যে দিন দিন সাকিব আল হাসান দৃশ্যমান হচ্ছে। আশা করি, একদিন সাকিবকেও ছাড়িয়ে যাবে।
আজকের ইনিংসটি নাজমুলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ইনিংস। এভাবে এক প্রান্ত আগলে রাখতে পারলে এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অনেক দূর যেতে পারবে।
দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোমেন্টাম না ঘুরালে বিপদ হতে পারত। দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে আজ সীমিত বোলিং শক্তির বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার দেখলাম।
কিপিং সন্তোষজনক। ব্যাটিংয়ে ভূমিকা রাখার সুযোগ ছিল না।
ষষ্ঠ বোলার হিসেবে মাত্র এক ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছে। বোলিং সন্তোষজনক।
ধর্মশালার এই বালুময় মাঠ পেস বোলারদের রানআপের জন্য আদর্শ নয়। তারপরও তাসকিনের সেরা দিন ছিল না, তা বলা যায়।
নতুন বলে আরও কার্যকরী হবে, এমন প্রত্যাশা ছিল। তার ক্ষেত্রেও হয়তো বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলার রোমাঞ্চটা কাজ করছিল। শেষ স্পেল অবশ্য বেশ কার্যকরী ছিল।
এই ম্যাচে পেস বোলারদের মধ্যে সেরা। রহমানউল্লাহ গুরবাজের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি পুরো স্পেলজুড়েই দারুণ বল করেছে। নতুন বলে তাসকিনের সেরা পার্টনার হয়তো সেই হতে পারে।
ব্যাটিং বা বোলিং কোনোটিতেই ভূমিকা রাখার সুযোগ পায়নি।