কন্ডিশন যেমনই হোক, চতুর্থ ইনিংসে ৩৫৫ রান তাড়া করা সব সময়ই কঠিন। চট্টগ্রাম বিভাগের ছুড়ে দেওয়া এই লক্ষ্যে ২ উইকেটে ২১ রান নিয়ে কাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বরিশাল। তবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ শেষ দিনে তাদের দাঁড়াতেই দেননি চট্টগ্রামের অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
১৫ ওভার বল করে ২১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বরিশালকে মাত্র ৫৪ রানে অলআউট করায় বড় ভূমিকা নাঈমেরই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর ১৫তম ৫ উইকেটের সৌজন্যে ৩০০ রানের বড় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটসহ মোট ৮ উইকেট নিয়ে নাঈম হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
মুমিনুল হক ৮১ ও পারভেজ হোসেনের ৮২ রানে চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে করে ২৯৮ রান। বরিশাল তাদের প্রথম ইনিংসে ২০০ রানে অলআউট হয়েছে। চট্টগ্রামের মুমিনুল রান করেছেন দ্বিতীয় ইনিংসেও। তাঁর ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে চট্টগ্রাম ৯ উইকেটে ২৫৬ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫৫ রান। বাকি কাজটা করেছেন নাঈম।
কক্সবাজারে ঢাকা মহানগর ও সিলেটের ম্যাচটা হয়েছে ড্র। প্রথম ইনিংসে মহানগরের ৬০১ রানের জবাবে সিলেট ৪৯৪ রান করে অলআউট হয়। সিলেটের হয়ে ১০১ রান করেছেন শামসুর রহমান।
আজ ১০৭ রানে এগিয়ে থাকা মহানগর তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১৩ রান করার পর ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ৬২ ও জিহাদুজ্জামান ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ম্যাচসেরা হয়েছেন মহানগরের অধিনায়ক সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ক্যারিয়ার সেরা ২৫০ রান। আরেক অভিজ্ঞ নাঈম ইসলামও করেছেন ক্যারিয়ার–সেরা ২২১ রান।