লড়াইটা একসময় হয়ে গেল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার। ইব্রাহীম জাদরানের সেঞ্চুরিতে ২৯৪ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কার হয়ে সাত নম্বরে যখন হাসারাঙ্গা উইকেটে আসেন, ২৪তম ওভারে ১৩৭ রান পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকেরা। হাসারাঙ্গা এরপর ৪৬ বলে ৬৬ রানের ইনিংস, তবে অন্যরা একে একে ফিরে গেলেন তাঁকে রেখে। ৩৮তম ওভারের শেষ বলে ফজল হক ফারুকির চতুর্থ শিকারে পরিণত হলেন হাসারাঙ্গা, শ্রীলঙ্কা আটকে গেল ২৩৪ রানেই। পাল্লেকেলেতে ৬০ রানে জিতে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফগানদের এটি দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়, সর্বশেষ জয়টি এসেছিল ২০১৮ সালে।
রানতাড়ায় হাসারাঙ্গার আগে শ্রীলঙ্কার ভরসা হয়ে ছিলেন ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা। ফারুকির বলে তিনিও হয়েছেন বোল্ড, এর আগে ৮৩ বলে করেছেন ৮৫ রান। প্রথম পাঁচ উইকেটে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ জুটিটি ছিল ৫৪ বলে ৪৭ রানের, পঞ্চম উইকেটে যোগ করেছিলেন নিসাঙ্কা ও দাসুন শানাকা। নিসাঙ্কা ও হাসারাঙ্গা ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ৩১ রান।
দুই আফগান পেসার ফারুকি ও গুলবদিন নাইবই মূল ক্ষতিটা করেছেন স্বাগতিকদের। দুজনের করা ১৭ ওভারে ৮৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আরেক পেসার ইয়ামিন আহমেদজাই একটু খরুচে ছিলেন, তবে তিনিও ৬ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে নেন কুশল মেন্ডিস ও মহীশ তিকসানার উইকেট। নিসাঙ্কার ৮৫, হাসারাঙ্গার ৬৬ রানের পর শ্রীলঙ্কা ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ছিল ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও অধিনায়ক শানাকার—১৬ রান।
টসে জিতে ব্যাটিং করতে নামা আফগানিস্তানের শুরুটা ভালো হয় দুই ওপেনারের সৌজন্যে। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম যোগ করেন ৮৪ রান। ১৫তম ওভারে ৫৫ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন গুরবাজ। দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহ ও জাদরান যোগ করেন ১১৮ রান। ফিফটির পরপর থামেন রহমতও (৫২)।
ইব্রাহীম ফিফটি করেন ৬২ বলে, সেঞ্চুরি করতে তাঁর লাগে ১১৬ বল। ৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তাঁর। তিকশানার বলে হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১২০ বলে করেন ১০৬ রান, মারেন ১১টি চার। এক জাদরানের গড়ে দেওয়া মঞ্চে ঝড় তোলেন আরেক জাদরান—নাজিবুল্লাহ। চারে নেমে ২৫ বলে করেন ৪২ রান, ৫টি চারের সঙ্গে ১টি ছয়ে।
শেষ ২ ওভারে আফগানিস্তান হারায় ৪ উইকেট। শেষ ওভারে ৫ রান তুলতে হারায় ২ উইকেট। সেটি না হলে ৩০০ ঠিকই পেরোতে পারত তারা। তাতে অবশ্য বড় জয় পেতে সমস্যা হয়নি হাশমতউল্লাহ শাহিদির দলের।