ওয়াসিম আকরাম, শহীদ আফ্রিদি, রমিজ রাজা...গল টেস্টের পর পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। ৩৪২ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যাওয়ার পর বেশির ভাগ প্রশংসাই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ শফিককে ঘিরে। তাঁর অপরাজিত ১৬০ রানের ইনিংসে ভর করেই যে গলের স্পিনবান্ধব উইকেটে সহজ জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান দলের প্রশংসাকারীদের দলে কাল যোগ দিয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদও। পাকিস্তানের ক্রিকেটের ‘বড়ে মিয়া’ আবদুল্লাহ শফিকের পাশাপাশি প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজমকে। ১১২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তান যে প্রথম ইনিংসে ২১৮ রান করতে পেরেছে, তা বাবরের ২৪৪ বলে ১১৯ রানের ইনিংসের কারণেই। বাবরের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মিয়াঁদাদ মুগ্ধ তাঁর নেতৃত্বগুণেও।
নিজের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে বাবর আজমের প্রশংসা করতে গিয়ে মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘পাকিস্তান একটি দল হিসেবে খেলছে। এর (গল টেস্ট জয়ের) কৃতিত্ব সব খেলোয়াড়কেই দিতে হবে। এর সঙ্গে কৃতিত্ব দিতে হবে আমাদের নাম্বার ওয়ান অধিনায়ককে। সে আমাদের “ক্যাপ্টেন কুল”। সে কখনোই তার মেজাজ হারায় না।’
টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে বা টেস্ট—যে সংস্করণের ম্যাচই হোক, বাবর দলকে নেতৃত্ব দেন ঠান্ডা মাথায়। এর সঙ্গে ব্যাট হাতেও খুব ভালোভাবে ছন্দে আছেন বাবর। মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘সে দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সে নিজে খুব ভালো পারফর্ম করছে। সে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। প্রায়ই দেখা যায়, একজন অধিনায়ক যখন পারফর্ম করে না, দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিয়াঁদাদ। পাকিস্তানকে ১২৩টি টেস্ট ও ২৩৩টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক ক্রিকেটার বাবরের প্রশংসা করতে গিয়ে এরপর যা বলেছেন, সেটা হয়তো বাবরের ক্যারিয়ারে পাওয়া সেরা প্রশংসা হয়েই থাকবে, ‘বাবর এখন পরিণত। সে খেলা থেকে অবসর নেওয়ার আগপর্যন্ত পাকিস্তানের অধিনায়ক থাকা উচিত।’