আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে শুরু হওয়ার কথা মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহে মেয়েদের বিশ্বকাপ আয়োজন শঙ্কার মুখে পড়েছে।
আইসিসিও বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত ও শ্রীলঙ্কার কথা ভাবতে শুরু করেছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছেন।
দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, এটা (নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে।’
এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বড় ভরসা মানছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার আছেন সঙ্গে। আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রোববারই বসব। আমি সচিবের সঙ্গে বসব। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কয় দিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’ জানা গেছে, বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক রাখতে এরই মধ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বরাবর চিঠি দিয়েছে বিসিবি।
২০১৪ সাল থেকে বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনও দায়িত্বে আছেন অনেক দিন। এসব জায়গায় পরিবর্তন আসতে পারে কি না, জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নেতৃত্বের ব্যক্তি নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। আমরা প্রসেসের জন্য, সিস্টেমের জন্য আন্দোলন করেছি। সিস্টেমে বিশ্বাস করি, আমরা সিস্টেমের সংস্কার করব। একটা সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করব, সেখানে যিনিই নেতৃত্বে আসবেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।’
আসিফ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। এত কম বয়সে দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি তো মনে করি এই দায়িত্ব আমার কাছে কমপ্লিমেন্টারি। তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণেই ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব। এই সরকার পরিচালনায় ২৫ থেকে ৮৫ বছর পর্যন্ত মানুষ থাকছেন। অভিজ্ঞদের বিশাল অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের শক্তির মিশ্রণ রয়েছে। তারুণ্যের শক্তি দীর্ঘ সময় পর ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করতে পেরেছে দেশকে। তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণেই ভালো কিছু করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ে অভিজ্ঞরা থাকবেন। তাঁরা আমাকে সাফল্য পেতে সহায়তা করবেন বলে মনে করি।’