যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে দাপট দেখিয়ে বড় জয়ই তুলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ১০ উইকেটের জয়টি এসেছে এমন সময়ে, যার আগে দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়ে ফেলেছিল নাজমুল হোসেনের দল। শেষ ম্যাচে বড় জয় পেলেও সিরিজ বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। আইসিসির সহযোগী সদস্যদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্সের কারণে গত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে আছে বাংলাদেশ দল।
যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের কোচ স্টুয়ার্ট লর মতে, সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রেরই জয়ের তাড়না বেশি ছিল। দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে কাজ করে যাওয়া এই কোচ মনে করেন, বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট দল। এখানকার গণমাধ্যমই ক্রিকেট দলকে বেশি চাপে রাখে।
সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট ও ৬ রানে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ গতকাল তৃতীয় ম্যাচে জিতেছে ব্যাটে-বলে দাপুটে ক্রিকেট খেলে। যুক্তরাষ্ট্রকে ১০৪ রানে আটকে দেওয়ার পর দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটি তা তাড়া করেছে ৫০ বল হাতে রেখে। টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের ১০ উইকেটে প্রথম জয়।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র কোচ বলেন, তাঁর দল শেষ ম্যাচে কিছুটা নির্ভার ছিল, ‘প্রথম দুই ম্যাচে আমাদের মধ্যে (জয়ের) আকাঙ্ক্ষা ও প্যাশন বেশি ছিল। ওদের চেয়ে কিছুটা বেশিই। এই ম্যাচের আবহটা ভিন্ন ছিল। আমরা কিছুটা নির্ভার ছিলাম। বাংলাদেশও বেশ ভালো খেলেছে।’
স্টুয়ার্ট ল যুক্তরাষ্ট্র দলের কোচ হয়েছেন গত মাসে। এর আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশ দলের কোচ এবং পরবর্তী সময়ে বিসিবির ডেভেলপমেন্ট বিভাগে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। এমনকি চলতি বছরের শুরুতেও আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের কোচের ভূমিকায় ছিলেন ল।
দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটে কাজ করার সুবাদে কিছু মূল্যায়নও উঠে এসেছে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের কণ্ঠে, ‘বাংলাদেশ ভালো দল। আপনারা (সংবাদমাধ্যম) ওদের ব্যাপক চাপের মধ্যে রাখেন। এই ব্যাপারটা আমি জানি। এই দলটায় ভালো মারতে পারে, এমন কয়েকজন আছে। আজ দুজন ব্যাটসম্যান চমৎকার সব শট খেলেই রান করেছে। কয়েকজন ভালো বোলারও আছে, যাদের পেসও চমৎকার। আর স্পিনারদের কারণে বাংলাদেশ সব সময়ই শক্তিশালী থাকবে। ওদের ভালো একটা দল আছে।’
সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যারন জোনস। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে, ‘আমরা যে খুব ভালো দল, সেটা বাংলাদেশের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের বিপক্ষে দেখাতে পেরেছি। আমরা যদি ভারত, পাকিস্তানকেও হারাই, সেটা আমি অঘটন বলব না। আমি শুধু বলব, নির্দিষ্ট দিনটায় আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এটা ক্রিকেট খেলা, এখানে বড় দলও হারতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ম্যাচ দিয়ে। এর আগে ২৮ মে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে আবার মুখোমুখি হবে।