টানা ব্যস্ততার পর কয়েক সপ্তাহ ছুটিতে ছিলেন শরীফুল ইসলাম। গত বছরের তিন সংস্করণের ক্রিকেটের ধকল কাটিয়ে চাঙা হয়েই মাঠে ফিরতে চেয়েছিলেন জাতীয় দলের এই বাঁহাতি পেসার। অন্যরা বিপিএলকে সামনে রেখে আগেই অনুশীলন শুরু করলেও শরীফুল বিশ্রামের সময়টাকে লম্বা করেছেন। গতকাল ঢাকায় ফিরে বিপিএলের আবহে ঢুকেছেন আজ।
এবারের বিপিএলে তাঁর দল দুর্দান্ত ঢাকা। জাতীয় দলের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদকেও দেখা যাবে ঢাকার জার্সিতে। আজ দুই পেসারের যুগলবন্দী দেখা গেল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে ঢাকার অনুশীলনে। প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে শরীফুল বিরতির পর মাঠে ফেরার অনুভূতি জানালেন সাংবাদিকদের।
নতুন বছরও ভালো বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারার আশার কথা শোনালেন দারুণ ছন্দে থাকা এই পেসার, ‘গত বছরটা আমার খুব ভালো গেছে, বিশেষ করে শেষ ৬-৭ মাস। নতুন বছরে বিপিএল দিয়েই ক্রিকেটে ফিরব। চেষ্টা থাকবে সেই ফর্মটা ধরে রাখার।’
বিপিএলের পরপরই বাংলাদেশে তিন সংস্করণের সিরিজ খেলতে আসবে শ্রীলঙ্কা। আছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজও। এর পরই বাংলাদেশ দল যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বোলিং ওয়ার্কলোডের বিষয়টিও শরীফুলকে মাথায় রাখতে হচ্ছে তাই, ‘যতটা ফিট থেকে খেলা যায়, সে চেষ্টাও থাকবে। কারণ, সামনে দেশের হয়ে অনেক খেলা আছে। এটাই আমার মূল লক্ষ্য।’
বছরটা যেহেতু টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের, স্বাভাবিকভাবেই বৈশ্বিক সেই টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখেই বিপিএল খেলতে চান এই বাঁহাতি। তাঁর কথা, ‘বিপিএল অনেক সাহায্য করবে। যেহেতু সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমাদের এটিই (মূল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সবাই চাইবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে পারফর্ম করতে, আর নতুন কিছু করতে। এটা বিশ্বকাপেও আমাকে সাহায্য করবে।’
বিপিএল নিয়ে শরীফুলের দলগত প্রাথমিক লক্ষ্যও আছে, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে চারে ওঠা। সুপার ফোরে (প্লে–অফে) উঠতে পারলে আমরা ফাইনালের চিন্তা করব। আমাদের দলে আমি আছি, সৈকত (মোসাদ্দেক হোসেন) ভাই আছে, তাসকিন ভাই আছে, ইরফান শুক্কুর ভাই আছে, সাইফ হাসান আছে, (মোহাম্মদ) নাঈম শেখ আছে; দেশি প্লেয়াররা আমরা যদি ভালো করি, কিছু কিছু ম্যাচে উইনিং পারফরম্যান্স করি, তাহলে আমরা ভালো করব।’