১০ ম্যাচে টানা ১০ জয়। ভারতের সেই জয়গুলোও ছিল কত দাপুটে! রান তাড়া করে তারা জিতেছে ৬, ৮, ৭, ৭ ও ৪ উইকেটে। আর আগে ব্যাট করা ম্যাচগুলোতে জয় যথাক্রমে ১০০, ৩০২, ২৪৩, ১৬০ ও ৭০ রানে। দুর্দম্য গতিতে ফাইনালে ওঠা এই ভারত শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এভাবে ভেঙে পড়ল কেন?
ফাইনালে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ বলে তারা অলআউট হয়েছে ২৪০ রানে। রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া তা পেরিয়ে গেছে ৪২ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে। শেষ পর্যন্ত একপেশে এক ফাইনাল জিতে নিজেদের ইতিহাসে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয় করেছে অস্ট্রেলিয়া।
ফাইনালের পর থেকেই শেষে এসে ভারতের এমন ভেঙে পড়া নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। কেউ কেউ ভারতকেই বলতে শুরু করেছেন ক্রিকেটের নতুন ‘চোকার’। তা না হয় হলো, কিন্তু ফাইনালে ভারতের এমন হালের কারণ কী?
গত পরশু ফাইনাল চলাকালেই এ বিষয়ে একটি বিশ্লেষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সামা টিভিতে ভারত দলকে নিয়ে করা সেই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কী এমন বলেছিলেন আফ্রিদি, যা এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে! আফ্রিদির কথাগুলো ছিল এ রকম, ‘আপনি যখন ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ জিতবেন, অতি আত্মবিশ্বাস জন্ম নেবে। আমি মনে করি, এটাই তাদের পতনের কারণ।’
ভারতীয় সমর্থকদের একটি আচরণের সমালোচনাও করেছেন আফ্রিদি। ট্রাভিস হেড অসাধারণ একটি শতক করার পরও নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে উপস্থিত ভারতীয় সমর্থকেরা হাততালি দেয়নি, এটা ভালো লাগেনি আফ্রিদির। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সবারই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা যখন একটি বাউন্ডারি মারতাম বা শতক করতাম কিংবা উইকেট নিতাম, ভারতের সমর্থকেরা কোনো সাড়াশব্দ করত না।’
আফ্রিদি এরপর যোগ করেন, ‘ট্রাভিস হেড যখন শতক করল, দর্শকেরা ছিল চুপ। একটা ক্রীড়াপ্রেমী জাতি সব সময়ই খেলোয়াড় ও তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে। কিন্তু ভারতের সমর্থকদের মধ্যে এটা নেই। তথাকথিত শিক্ষিত এই সমর্থকেরা বিস্মিত হয়ে গিয়েছিল।’