ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের শতক, দুজনের ২৫৯ রানের জুটির পর অ্যাডাম জাম্পার দারুণ বোলিংয়ে বেঙ্গালুরুতে বড় জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ ম্যাচ ছাপ রেখেছে বিশ্বকাপের বেশ কিছু রেকর্ডে।
বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের। শ্রীলঙ্কার বাইরে অন্য কোনো দলের প্রথম ২০০ রানের ওপেনিং জুটি বিশ্বকাপে। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গা ও তিলকারত্নে দিলশান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮২ রানের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন।
বিশ্বকাপে এ নিয়ে মাত্র চতুর্থবার একই ইনিংসে দুই ওপেনার পেলেন সেঞ্চুরি, অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে যেটি প্রথম ঘটনা।
বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচে চারজন ওপেনারের কমপক্ষে ফিফটি করার ঘটনা এটিই প্রথম। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারই পেয়েছেন সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের দুজনই ফিফটি পেরোলেও অবশ্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি।
বিশ্বকাপে এক ইনিংসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯টি ছক্কা মেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯টি ছক্কা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসেও। সবার ওপরে ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫টি ছক্কা মারা ইংল্যান্ড, ওয়ানডেতেই যেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা চারটি সেঞ্চুরি ওয়ার্নারের। ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসেছে ম্যাচগুলো। একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে টানা চারটি সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান ওয়ার্নার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৭-১৮ মৌসুমে টানা চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি।
বিশ্বকাপে ওয়ার্নারের এটি পঞ্চম শতক, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে যেটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে একাধিকবার ৫ উইকেটের কীর্তি আছে আর একজনেরই—শাহিনের শ্বশুর শহীদ আফ্রিদির।
৩২তম জন্মদিনে সেঞ্চুরি পেলেন মিচেল মার্শ। জন্মদিনে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পাওয়া প্রথম অস্ট্রেলিয়ান তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০০ পেরিয়েও এই প্রথমবার বিশ্বকাপে হারল পাকিস্তান। এর আগে হারা ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২৭৩/৩, সেঞ্চুরিয়নে ২০০৩ সালে।