সংস্করণটা ছোট, কিন্তু দ্রুতই ক্রিকেট অঙ্গনে বড় থেকে আরও বড় জায়গা করে নিচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি এভাবে জায়গা দখল করে নেওয়ায় কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ওয়ানডে ক্রিকেট। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণ মিলিয়ে ঠাসা সূচির কারণে অনেক ক্রিকেটারই কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। এর ফল হিসেবেই সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস।
ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট ক্রিকেট এমনিতে ছাড়তে চান না খেলোয়াড়েরা। আর টি-টোয়েন্টিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আছে বলে অর্থের ঝনঝনানি সেখানে। এ কারণে এই সংস্করণও ছাড়েন না কেউই। চাপ কমাতে খেলোয়াড়দের তাই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেই সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি এখন বাস্তবতা। অদূর ভবিষ্যতে ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াও ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেবেন বলে মনে করেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরও বেশি মনোযোগ দিতেই পান্ডিয়া ওয়ানডে থেকে অবসর নেবেন বলে মনে করেন শাস্ত্রী, ‘এখন অনেক খেলোয়াড়ই নিজেদের পছন্দমতো সংস্করণ বেছে নেন। হার্দিক পান্ডিয়ার কথাই ধরুন, সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে চায়। সে এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে (টি-টোয়েন্টি ছাড়া) সে অন্য সংস্করণে খেলতে চায় না।’
ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে পান্ডিয়ার সম্ভাব্য অবসর নিয়ে শাস্ত্রী বলেছেন, ‘সে এখন ওয়ানডে খেলবে, কারণ আগামী বছর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে। এরপর হয়তো দেখবেন সে এটা ছেড়ে দেবে।’ শুধু পান্ডিয়াই নন, এমন ঘটনা আরও অনেক খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেও ঘটবে বলে মনে করেন ভারতের সাবেক কোচ, ‘খেলোয়াড়েরা সংস্করণ পছন্দ করে নিতে শুরু করবে। এটা করার অধিকারও তাদের আছে।’
শাস্ত্রী স্কাই স্পোর্টসে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ওয়ানডে ক্রিকেট বাঁচিয়ে রাখার একটি পরামর্শও ক্রিকেট–বিশ্বকে দিয়ে রেখেছেন, ‘৫০ ওভারের ক্রিকেট হয়তো একটু পেছনে পড়ে গেছে। কিন্তু এটাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব, যদি আপনি বিশ্বকাপের ওপর বেশি জোর দেন।’