স্কোরবোর্ডে ১১৯ রানের সংগ্রহ নিয়ে মনোবল ধরে রাখা বোলারদের জন্য বরাবরই কঠিন। সেটা যদি ভারত–পাকিস্তানের মতো স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচে হয়, তবে তো কথাই নেই! কিন্তু এই চাপকে জয় করে কঠিন সেই কাজই গতকাল সম্পন্ন করেছে ভারত।
হতাশাজনক ব্যাটিং ব্যর্থতাকে ভুলিয়ে দিয়ে রোহিত শর্মার দলকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন বোলাররা। ম্যাচ শেষে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতাই পাকিস্তানকে হারানোর পথে বোলারদের উজ্জীবিত করেছে বলে জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
পাশাপাশি জয়ের জন্য রোহিত বিশেষভাবে কৃতিত্ব দিয়েছেন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া যশপ্রীত বুমরাকে। তবে পাকিস্তানকে হারিয়েই আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে চান না রোহিত। বলেছেন, এমন মানসিকতা তিনি টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত দেখতে চান।
ব্যাটসম্যানরা হতাশ করলেও বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন জানিয়ে রোহিত বলেন, ‘আমরা ব্যাটিং ভালো করতে পারিনি। ১০ ওভার শেষে আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। সে সময় ভালো জুটির প্রত্যাশা ছিল। আমরা ১৫–২০ রান কম করেছিলাম, প্রতিটি রানই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল ১৪০ রান করা। তবে বোলাররা তাদের কাজ করেছে। আগের ম্যাচের উইকেটের চেয়ে (আয়ারল্যান্ড ম্যাচের উইকেট) এটা ভালো উইকেট ছিল।’
দলের হার না মানা মানসিকতার কারণে শেষ পর্যন্ত জয়টা এসেছে বলে মনে করেন রোহিত, ‘এই দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত হার না মানার মানসিকতা আছে। স্কোরবোর্ডে ১১৯ রান নিয়ে আমরা চেয়েছিলাম শুরুতে ধাক্কা দিতে, সেটা পরিনি। তবে ম্যাচের মাঝামাঝি সময়ে আমরা সংগঠিত হয়েছি এবং বলেছি, (ব্যাটিংয়ে) যা আমাদের সঙ্গে ঘটেছে, সেটা ওদের সঙ্গেও ঘটতে পারে। প্রত্যেকের ছোট ছোট অবদানই দলকে জিতিয়েছে। যে–ই বল করেছে, চেয়েছে পার্থক্য গড়ে দিতে।’
এ সময় আলাদা করে বুমরার কথা মনে করিয়ে দেন রোহিত। ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে এ পেসারই মূলত পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। তবে সামনের ম্যাচগুলোতেও বুমরার কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স দেখতে চান ভারত অধিনায়ক, ‘বুমরা ম্যাচের সঙ্গে প্রতিনিয়ত উন্নতি করেছে। আমি তাকে নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না, আমরা বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত এ মানসিকতা দেখতে চাই। বল হাতে সে দুর্দান্ত।’
কঠিন চ্যালেঞ্জ জয়ে ভারতের ১২তম সদস্য হিসেবে ছিলেন সমর্থকেরা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাঁরা দলকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। সমর্থকদের কৃতিত্ব দিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘সমর্থকেরাও দারুণ ছিল। তারা কখনো হতাশ করেনি। আমরা পৃথিবীর যেখানেই খেলি না কেন, অনেক সমর্থক হাজির হয়েছে ও আমাদের সমর্থন দিয়েছে। তারা নিজেদের মুখে হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছে। এটা মাত্রই টুর্নামেন্টের শুরু, আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।’