ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ায় তখনই এমন কিছুর আভাস মিলেছিল। ভারত প্রথম ইনিংসে বড় রানের সংগ্রহ গড়বে। এরপর সেই রানের পিছু ছুটতে গিয়ে ক্যারিবীয়রা আবারও মুখ থুবড়ে পড়বে, রোহিত শর্মারা জিতে যাবেন ইনিংস ব্যবধানে।
ঠিক এই চিত্রনাট্য মেনেই শেষ হয়েছে ডমিনিকা টেস্ট। অভিষিক্ত যশস্বী জয়সোয়াল ও অধিনায়ক রোহিতের সেঞ্চুরি আর বিরাট কোহলির ফিফটিতে ভর করে ভারত ৫ উইকেটে ৪২১ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৭১ রানে পিছিয়ে থেকে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং-বিপর্যয়ে পড়ে। এবার অলআউট ১৩০ রানে। ভারত দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে পেয়েছে ইনিংস ও ১৪১ রানে জয়। আর তা–ও মাত্র তিন দিনের মধ্যেই।
এমন দাপুটে জয়ের ভাবনা অবশ্য ভারতের আগে থেকেই ছিল। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক রোহিতই জানিয়েছেন সেটা, ‘ওদেরকে ১৫০ রানে আটকে দিতে পারাটা আমাদের গতিপথ ঠিক করে দিয়েছে। জানতাম, এখানে ব্যাটিং করা কঠিন, রান তোলা সহজ হবে না। আমাদের লক্ষ্য ছিল একবারই ব্যাট করব, আর সেটা লম্বা সময় ধরে। যাতে ৪০০-এর বেশি রান হয়। এরপর বোলিংয়ে নেমে শেষ করে আসা।’
ইনিংসের ব্যবধানের জয়ে বোলারদের অবদানই বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে রোহিতের মূল অস্ত্র ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া এই স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন ৭১ রানে ৭ উইকেট। আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা দুই ইনিংসে নেন ৫ উইকেট।
২৭১ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৮ রানের মধ্যেই হারায় প্রথম ছয় উইকেট। শেষ ৪ উইকেটে আরও ৫২ রান যোগ হয় মূলত জেসন হোল্ডারের ২০* ও জোমেল ওয়ারিকানের ১৮ রানের ইনিংস দুটির সুবাদে। যদিও বড় হার ঠেকাতে পারেননি কেউই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৫০ ও ১৩০ (আথানাজে ২৮, হোল্ডার ২০*; অশ্বিন ৭/৭১, জাদেজা ২/৩৮)।
ভারত: ৪২১/৫ ডিক্লে. (জয়সোয়াল ১৭১, রোহিত ১০৩, কোহলি ৭৬; কর্নওয়াল ১/৩২)।
ফল: ভারত ইনিংস ও ১৪১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: যশস্বী জয়সোয়াল।