রাওয়ালপিন্ডিতে আজ ক্ষণিকের জন্য ফিরে এসেছিল অ্যাঞ্জলো ম্যাথুসের টাইমড–আউট বিতর্কের স্মৃতি! ক্রিজে আসতে একটু দেরি করে ফেলা পাকিস্তানের আবরার আহমেদ টাইমড–আউটের ভয়ে দৌড়ে আসছিলেন। সেই সময়ই সাকিব আল হাসানসহ অন্যরা এ নিয়ে মজা করেন।
ম্যাথুসের টাইমড–আউট বিতর্কের সঙ্গে মূলত জড়িত সাকিবই। ২০২৩ সালে ভারতে হয়ে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে দিল্লিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ক্রিজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রথম বলের মুখোমুখি হতে ব্যর্থ হন। ম্যাথুস ক্রিজে আসার সময় খেয়াল করেন তাঁর হেলমেটের ফিতা ছেড়া। তিনি ড্রেসিংরুম থেকে নতুন হেলমেট চেয়ে পাঠান। সেটি নিয়ে ক্রিজে আসেন।
ততক্ষণে ক্রিজে এসে প্রথম বলের মুখোমুখি হওয়ার নির্ধারিত হওয়ার সময় শেষ হয়ে যায়। সেই সময়ের বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আম্পায়ারের কাছে ম্যাথুসের বিরুদ্ধে টাইম–আউটের আবেদন করেন। মাঠের দুই আম্পায়ার আলোচনা করে ম্যাথুসকে টাইমড–আউট ঘোষণা করেন। ম্যাথুস হয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টাইমড–আউট ব্যাটসম্যান।
এরপর এ নিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দলে উত্তেজনা কম ছড়ায়নি। ওই ঘটনার পর যখনই দুই দলের দেখা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়েরা নানাভাবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ‘লজ্জা’ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরাও কোনো না কোনোভাবে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।
এবার সেই স্মৃতি ফিরে এসেছে রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ–পাকিস্তান টেস্টের চতুর্থ দিনের লাঞ্চের পর। পাকিস্তান লাঞ্চ থেকে ফিরে পরপর দুই বলে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মোহাম্মদ আলীকে হারায়। এর জন্য সেভাবে প্রস্তুত ছিলেন না পরের ব্যাটসম্যান আবরার। তাঁর ক্রিজে আসতে একটু দেরি হয়ে যাচ্ছিল।
আবরার টাইমড–আউট এড়াতেই কি না কে জানে দৌড়ে দৌড়ে আসছিলেন ক্রিজে। সেই সময় তাঁর গ্লাভস পড়ে যায় মাঠে। তখন মজা করে সাকিব হাসতে হাসতে আঙুল তোলেন। মাঠে, ড্রেসিংরুমে, ডাগআউটে এবং কমেন্ট্রি বক্সেও সবাই বিষয়টি নিয়ে মজা করে হাসছিলেন। ভিডিওটি বারবার দেখানো হচ্ছিল টিভিতে।