বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আজ কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই চুক্তির মেয়াদ থাকবে। তিন সংস্করণ মিলিয়ে মোট ২১ ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় রেখেছে বিসিবি। গতবারও একই সংখ্যক খেলোয়াড়কে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় রাখা হয়েছিল।
এবার চার ক্রিকেটারকে তিন সংস্করণের চুক্তিতেই রাখা হয়েছে—লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। গতবার তিন সংস্করণের চুক্তিতে ছিলেন পাঁচ ক্রিকেটার। সেখান থেকে এবারও জায়গা ধরে রেখেছেন শুধু লিটন, সাকিব ও তাসকিন। শরীফুল ইসলাম ও মুশফিকুর রহিমকে বাদ দিয়ে যোগ করা হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে।
মুশফিক এবার বোর্ডের টেস্ট ও ওয়ানডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন। তামিম ইকবালকেও এ দুটি সংস্করণের চুক্তিতে রাখা হয়েছে। নুরুল হাসান ও নাজমুল হোসেন আছেন টেস্টের চুক্তিতে। শুধু ওয়ানডের চুক্তিতে আছেন মাহমুদউল্লাহ। শরীফুল আছেন ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টির চুক্তিতে।
এবার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদুল হাসান, মোহাম্মদ নাঈম, সাদমান ইসলাম ও ইয়াসির আলী। হাসান মাহমুদ ও জাকির হাসান এবারই প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় এসেছেন। পেসার হাসানকে টি–টোয়েন্টি ও জাকিরকে টেস্টের চুক্তিতে রাখা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরেছেন পেসার খালেদ আহমেদ ও মোসাদ্দেক হোসেন। খালেদকে ফেরানো হয়েছে টেস্টের চুক্তিতে আর মোসাদ্দেক ফিরেছেন টি–টোয়েন্টির চুক্তিতে। টেস্টের চুক্তিতে এবার রাখা হয়েছে ১৩ ক্রিকেটারকে। গতবার এই চুক্তিতে ছিলেন ১৪ জন। ওয়ানডের চুক্তিতে আছেন ১০ জন এবং টি–টোয়েন্টির চুক্তিতে আছেন ১৩ ক্রিকেটার।
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা (২০২৩):
তিন সংস্করণ: সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান।
ওয়ানডে ও টেস্ট: তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি: নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান।
টেস্ট: মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ ও জাকির হাসান।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি: আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
শুধু ওয়ানডে: মাহমুদউল্লাহ।
শুধু টি-২০: নাসুম আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদী ও হাসান মাহমুদ।
বাদ পড়েছেন: ইয়াসির আলি, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম ও মোহাম্মদ নাইম।
চুক্তিতে নতুন: জাকির হাসান ও হাসান মাহমুদ।
চুক্তিতে ফিরেছেন: খালেদ আহমেদ ও মোসাদ্দেক হোসেন।