বল মাত্র চার ওভার পুরোনো। গতকাল দ্বিতীয় দিন শেষ বেলায় নতুন বল পেয়ে কেইন উইলিয়ামসন ও ইশ সোধির উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। আজও সকালে নতুন বলের উজ্জ্বলতা কাজে লাগাবেন স্পিনাররা, নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান টিম সাউদি ও কাইল জেমিসনকে আউট করবেন—বাংলাদেশ দল এমন আশাই করেছিল।
কিন্তু দিনের প্রথম ঘণ্টায় সাউদি ও জেমিসন জুটি তা হতে দেয়নি। দুজন মিলে আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৬৬ রানকে দ্রুতই তিন শর ঘরে নিয়ে যান। এরপর লিড। বাংলাদেশের ভাগ্য বদলায় ড্রিংকস ব্রেকের পরপরই। মুমিনুল হকের করা ১০২তম ওভারে আউট হন জেমিসন ও সাউদি। এতে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামে ৩১৭ রানে, লিড ৭।
বাড়তি কিছু রানের জন্য বাংলাদেশের ফিল্ডিংও কিছুটা দায়ী। দিনের শুরু থেকেই ‘ইন অ্যান্ড আউট’ ফিল্ডিং সাজিয়েছেন নাজমুল হোসেন। মিড উইকেট তো বাইরে ছিলই। একটা পর্যায়ে কাভার পয়েন্টও বাইরে ছিল। সাউদি ও জেমিসন—দুজনই ফাঁকা জায়গায় বল ফেলে এক-দুই রান নিয়েছেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
তাইজুল ও মিরাজকেও ভয়ংকর মনে হচ্ছিল না। দুজনই প্রথম স্পেলে উইকেটশূন্য থাকায় শরীফুল ইসলামকে বোলিংয়ে আনেন নাজমুল। এতেও কাজ হয়নি। বরং রান বেড়েছে। নাঈম হাসানের অফ স্পিন বেশ কার্যকর মনে হচ্ছিল। তবে দুই দীর্ঘদেহী কিউই ব্যাটসম্যানের মুমিনুল হকের বোলিং খেলতে কষ্ট হচ্ছিল।
ওয়াইড অব দ্য ক্রিজ থেকে আসা মুমিনুলের রাউন্ড আর্ম অ্যাকশনে কিছু বল নিচু হচ্ছিল, কিছু টার্ন। আজকের দিনে দ্বিতীয় ওভার করতে এসে সেই মুমিনুলের বলেই আউট হন দুই কিউই ব্যাটসম্যান। জেমিসনকে আর্ম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুমিনুল। ৭০ বলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি।
৩ বল পর সাউদিকে বোল্ড করেন মুমিনুল। তাঁর ইনিংস থামে ৬২ বলে ৩৫ রানে। গতকালও ১ উইকেট নিয়েছিলেন মুমিনুল। এই ইনিংসে সব মিলিয়ে ৪ রানে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। টেস্টে এটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আরেক বাঁহাতি তাইজুল।