গত কয়েক দিনেই বোঝা গেছে, দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নির্বাচকেরা কতটা স্বাধীন! তামিমকে আসলে কোন প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হলো, সেটি প্রশ্ন। সে বিশ্বকাপে গিয়ে চোটে পড়লে বদলি হিসেবে কাউকে পাঠানো যেত সহজেই। সে এভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করার পরও, ওপেনিংয়ে ঘাটতি থাকার পরও তামিমকে না দেখে বিস্মিত হয়েছি।
তানজিদকে নেওয়া হয়তো ভবিষ্যতের জন্য ভালো। সে লম্বা দৌড়ের ঘোড়া হতে পারে। তবে তামিমের সঙ্গে যা হলো, তাতে সাকিব-মুশফিকরা হয়তো আগেভাগেই সরে যাবে এরপর। দলের স্পিরিটে আঘাত করেছে এটি।
সম্প্রতি যে দলটা ব্যাটিংয়ে ভুগেছে সবচেয়ে বেশি, সেখানে পাঁচজন পেসার, দুজন স্পিনার, দুজন স্পিনিং অলরাউন্ডার নিয়ে বোলিংয়ের পাল্লাই ভারী করা হয়েছে। মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিয়ে কাউকে খোঁজা হচ্ছিল মনে হয়, এখন নিতান্ত বাধ্য হয়েই নিতে হলো তাকে।
স্বীকৃত ওপেনারদের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ-মিরাজকে নিজেদের জায়গায় রেখে যদি দল সাজানো হয়, তাহলে একাদশের বাইরে আসলে কোনো বাড়তি ব্যাটসম্যানই থাকবে না। সেখানে এতজন বোলার রাখাটা বিলাসিতা। যেখানে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা, সেই ওপেনিংয়েই ব্যাকআপ হিসেবে কাউকে রাখা হয়নি!
দল কি মনে করে না, ওপেনিং একটা বিশেষ জায়গা? বিশ্বকাপে মেকশিফট ওপেনারকে নিয়ে যদি কেউ পরিকল্পনা করে, তাহলে বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। সব জিনিসেরই একটা প্রক্রিয়া থাকে। তাহলে নির্বাচকদের দরকার কী, বোর্ডের বড় কোনো কর্মকর্তাই দল নির্বাচন করতে পারেন।
এ দলের কম্বিনেশনটা ঠিক নেই। হয়তো মনে হবে, অনেক অপশন আছে। তবে দলের কম্বিনেশন দেখে হতাশ। জোড়াতালির একটা দল হয়েছে।
✍️ গাজী আশরাফ হোসেন, সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক