পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জেতার অন্যতম কারিগর পেসার হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে উইকেট দিয়েছেন।
দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারানোর পর নিজের বোলিং ও দলের জয় নিয়ে কথা বলেছেন হাসান, জানিয়েছেন জয়টা দলের প্রাপ্য। পাকিস্তানের মাটিতে তাদের ২-০ ব্যবধানে হারানো দলকে নিয়ে গর্বিত বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসও।
প্রথম টেস্টেও দারুণ বোলিং করেছিলেন হাসান। উইকেট নিয়েছিলেন ৩টি। তবে তাঁর সেরা বোলিং দেখা গেছে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেই। বিশেষ করে যেভাবে একের পর এক ইনসুইংয়ের পর একটা আউটসুইংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে ব্যাটিং করা রিজওয়ানকে আউট করেছেন। পরের বলেই ফিরিয়েছিলেন মোহাম্মদ আলীকে। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের রানটা যে ১৭২ রানে থেমেছে, তার পেছনে এর বড় অবদান ছিল।
হাসানের এই সাফল্য এসেছে উইকেটের জন্য বোলিং করে। সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়া টেলিভিশনে ম্যাচ শেষে হাসান বলেছেন, ‘ছেলেরা দারুণ করেছে। তারা যেভাবে সিরিজজুড়ে কঠোর পরিশ্রম ও নিবেদন দেখিয়েছে, তা দুর্দান্ত। ফাস্ট বোলার হিসেবে আমি উইকেটের জন্যই বোলিং করেছি। ছেলেরা চেষ্টা করেছে, জয়টি প্রাপ্য ছিল। আমাদের পেস বোলিং শক্তিকে কাজে লাগানোর ব্যাপার ছিল। পেসার ও স্পিনারদের সমন্বিতভাবে ভালো করা জরুরি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব নেন অ্যাডামস। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর অধীনে বাংলাদেশের পেসাররা দারুণ সাফল্য অর্জন করেন। এরপর এসেছে এই সাফল্য। রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তো প্রতিপক্ষের সব উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা।
দল নিয়ে গর্বিত অ্যাডামস বলেছেন, ‘তরুণ এই দলটি নিয়ে আমি গর্বিত। এই ধরনের উইকেট আমরা সিরিজের আগে আশা করিনি, পেসাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। আপনার পেসারদের যথাযথভাবে দেখভাল করতে হবে, পেসাররা আগ্রহী, ম্যানেজমেন্টের এখন তাদের দেখাশোনা করতে হবে। যেভাবে সব এগোচ্ছে তাতে আমি খুশি।’
তিনি যোগ করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এটা ঠিক কী, তা আমি বলতে পারব না। তারা গর্বিত জাতি, আমি নিশ্চিত তারা তাদের দলকে নিয়ে গর্বিত হবে, বিশেষ করে গত কয়েক মাসে যা হয়েছে। আমরা সেখানে ছিলাম, খুবই ভয়ংকর পরিস্থিতি ছিল। তবে আমার উদ্যাপন চুপচাপই হবে।’