বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স
বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স

মিরাজদের খেলার ধরন কেমন হবে, বুঝিয়ে দিলেন সিমন্স

নানা নাটকীয়তায় ফিল সিমন্স বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেন গত অক্টোবরে। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে সিমন্সের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ।

এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হার। টানা দুই সিরিজে হার হজম হতে না হতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ২০১ রানের বিশাল ব্যবধানে হার।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলে সিমন্স অধ্যায়ের শুরুটা ভালো হয়নি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের জয় পরিস্থিতি অনেকটাই তাঁর পক্ষে নিয়ে এসেছে। এমন জয়ের পর ক্রিকেটারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি।

কিংস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল ১৬৪ রানে। সেই তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসে আরও কঠিন উইকেটে বাংলাদেশ ২৬৮ রান করেছে। এই রান বাংলাদেশ করেছিল পাল্টা আক্রমণে।

ব্যাটসম্যানদের ইতিবাচক মানসিকতা আমার ভালো লেগেছে। প্রথম কয়েক ম্যাচে ওদের শুধু টিকে থাকার মানসিকতা ছিল।
ফিল সিমন্স

ম্যাচশেষে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খেলোয়াড়দের এমন মানসিকতার প্রশংসা করে সিমন্স বলেছেন, ‘ব্যাটসম্যানদের ইতিবাচক মানসিকতা আমার ভালো লেগেছে। প্রথম কয়েক ম্যাচে ওদের শুধু টিকে থাকার মানসিকতা ছিল। এই টেস্টে তৃতীয় দিনে দেখেছেন ওরা বলছে—“আমিও খেলতে এসেছি”। আমার এটা খুব ভালো লেগেছে ও উপভোগ করেছি। ওরা যেন বুঝতে পারে, এখন থেকে এটাই খেলার একমাত্র ধরন, সেটা আমি নিশ্চিত করেছি। এই জয়ের জন্য অনেক তরুণ ক্রিকেটার অপেক্ষা করছিল। প্রথম ম্যাচে হারার পর এভাবে ফিরে আসা দেখতে ভালো লাগছে। আমার জন্য দারুণ আনন্দের।’

২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্ট জয়। অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে ২০১ রানে হারের পার কিংস্টন টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোটা বাংলাদেশের জন্য জরুরি ছিল। এই সিরিজের আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চারটি টেস্টে খুব বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। এমন দরকারি এক জয়ে সবাই যাঁর যাঁর জায়গা থেকে অবদান রেখেছেন।

দুর্দান্ত খেলে কিংস্টনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ

নাহিদ রানা প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন। জাকের আলী দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রান করেছেন, তাইজুল নিয়েছেন ৫ উইকেট। নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও নিজের কাজটা করেছেন। কোচ সিমন্সের মুখে তাই শোনা গেছে সবার প্রশংসা, ‘জাকের টানা ৩ টেস্টে ফিফটি করেছে। সুতরাং ও নিজের খেলাটা বোঝে। ও সব বোলারদের বিপক্ষেই দাপট দেখাতে পারে, এটাও আমরা দেখেছি। ও এখান থেকে যা পেয়েছে, সব নেওয়া উচিত। এবার যেমন হয়েছে প্রতিবার এটা হবে না।’

সিমন্স আরও বলেছেন, ‘মেহেদীকে নিয়েও আমি মুগ্ধ। তড়িঘড়ি করে ওকে নেতৃত্ব নিতে হয়েছে। ও দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে, চালিয়ে যাচ্ছে। মেহেদী ও তাইজুল একে–অপরকে পরিপূর্ণ করেছে। মেহেদী সোজা ও কিছুটা জোরের ওপর বোলিং করে, যেখানে তাইজুল নিজের ভ্যারিয়েশন ব্যবহার করে। তাইজুল স্টাম্প বরাবর বোলিং করতে পছন্দ করে, প্রথাগত বলের চেয়ে আর্ম বল বেশি করে। মনে হচ্ছে, প্রতি ম্যাচেই ওর উন্নতি হচ্ছে। প্রতিটি সেশনে আপনি ওর বোলিংয়ে নতুন ভাবনা দেখতে পাবেন।’