নুরুলকে নিয়ে কামরুলের উচ্ছ্বাস
নুরুলকে নিয়ে কামরুলের উচ্ছ্বাস

বরিশাল–রংপুর: শেষ ১২ বলে যত নাটক

১৯৮ রানের লক্ষ্য। বরিশালের দেওয়া এই লক্ষ্য ছুঁতে শেষ ২ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ৩৯ রান। কঠিন এই সমীকরণ মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত রংপুরই জিতেছে। তবে এই জয় পেতে শেষ ২ ওভারে নানা নাটকের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে রংপুরকে। কী হলো শেষ ১২ বলে?

১৮.১: বাঁহাতি পেসার জাহানদাদ খানের বাউন্সারে মিড অন দিয়ে খুশদিল শাহর ছক্কা। বাউন্ডারির পাশে ক্যাচ ধরতে গিয়ে আহত হয়ে বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল মাঠের বাইরে।

১৮.২: এবার আরও বড় ছক্কা খুশদিলের। এই ছক্কাটিও এসেছে মিড অন বাউন্ডারি অঞ্চল দিয়ে।

১৮.৩: খুশদিল বড় শটের চেষ্টাই করেছেন। তবে জাহানদাদ এবার বলটি করলেন অফ স্টাম্পের বেশ খানিকটা বাইরে। ব্যাটের জায়গামতো লাগল না। বল মিড অফে মাহমুদউল্লাহর হাতে।

১৮.৪: অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ নিয়মে আউট রংপুরের মেহেদী হাসান। জাহানদাদের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন মেহেদী। কিন্তু বরিশাল পেসার সেটি ধরতে গেলে নুরুল হাসানের বাধায় পারেননি। নুরুল রানের জন্য নন-স্ট্রাইক থেকে সামনের দিকে দৌড়াচ্ছিলেন। এমসিসি আইনের ৩৭.৩ ধারায় তাতে আউট দেওয়া হয় মেহেদীকে।

৭ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলেন নুরুল

১৮.৫: মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ফিরলেন নিজের প্রথম বলেই। বড় শট খেলতে গিয়ে মিড অনে নাঈম হাসানের হাতে ক্যাচ দেন এই অলরাউন্ডার।

১৮.৬: এই বলে হয়নি কিছুই। নতুন ব্যাটসম্যান কামরুল হাসান বলটি মিস করেন।

১৯.১: ৬ বলে দরকার ২‍৬ রান। বোলিংয়ে কাইল মায়ার্স, ব্যাটিংয়ে নুরুল হাসান। প্রথম বলে মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে নুরুলের ছক্কা। সমীকরণ এখন ৫ বলে ২০।

১৯.২: মায়ার্স করলেন স্লোয়ার। হাঁটু গেড়ে স্কয়ার লেগ দিয়ে ৪ মারলেন নুরুল।

১৯.৩: আবার স্লোয়ার করলেন মায়ার্স। ঠিকভাবে ব্যাটে বলেই হয়নি নুরুলের। নিজের দিন হলে যা হয়! ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে চার।

পুরো দলের পাগলাটে উদ্‌যাপন

১৯.৪: নুরুল এবারও মারলেন ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে। তবে এবার আর ৪ নয়। বল গেল গ্যালারির কাছে। ছক্কা!
১৯.৫: ২ রানে ৬ রানের সমীকরণ! এবার অন্য নুরুল। গ্যাপ খুঁজে সুইপার কাভার দিয়ে ৪।
১৯.৬: ১ বলে ২ রান দরকার। নুরুল বাউন্ডারির খোঁজে। শর্ট বলে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা। রংপুরের জয়!