বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ বলেছে আইসিসি। আইসিসির পিচ ও আউটফিল্ড পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মিরপুরকে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। এই ডিমেরিট পয়েন্ট থাকবে পাঁচ বছরের জন্য। এর মধ্যে ৬টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আসবে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, ম্যাচ অফিশিয়ালদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং দুই অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনার পর আইসিসির কাছে নিজের প্রতিবেদন জমা দেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন। তাতে তিনি বলেছেন, ‘আউটফিল্ড বেশ ভালো ছিল, বৃষ্টির পরও দারুণভাবে টিকে ছিল। কিন্তু মনে হয়েছে পিচ হয়তো ঠিকঠাক প্রস্তুত নয়। এটি শক্ত ছিল না, প্রথম দিন থেকেই ঘাসের ছিটায় ঢাকা ছিল।’
এরপর বুন বলেন, ‘প্রথম সেশন থেকে পুরোটা ম্যাচেই বাউন্স অসম ছিল, অনেক বল পিচ থেকে লাফিয়ে উঠেছে। সামনে গিয়ে খেলতে থাকা ব্যাটসম্যানের কাঁধের ওপর উঠেছে স্পিনারদের বল, এরপর মাঝেমধ্যে বেশ নিচুও হয়েছে।’
আইসিসির প্রক্রিয়া অনুযায়ী, পুরুষ ও নারী ক্রিকেটে প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের পর পিচ ও আউটফিল্ডকে বিভিন্ন রেটিং দেওয়া হয়। সাধারণত খুব ভালো, ভালো, গড়পড়তা, গড়পড়তার নিচে, বাজে ও অনুপযুক্ত—এসব শ্রেণিতে ভাগ করা হয় পিচ ও আউটফিল্ডকে। একটি নির্দিষ্ট মানের নিচে পিচ বা আউটফিল্ড পড়লে দেওয়া হয় ডিমেরিট পয়েন্ট। অসন্তোষজনক হলে দেওয়া হয় একটি ডিমেরিট পয়েন্ট, খেলার অনুপযুক্ত হলে তিনটি।
এর আগে ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের পর মিরপুরের ‘গড়পড়তার নিচে’ বলে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছিল আইসিসি। সেবার ৩৮টি উইকেটের মধ্যে ৩০টিই নিয়েছিলেন স্পিনাররা। সে দফা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আপিল করলেও সে সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছিল। এবার আইসিসির দেওয়া সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপিল করতে চাইলে সেটি ১৪ দিনের মধ্যে করতে হবে বিসিবিকে।
বৃষ্টির কারণে মিরপুরে দুই দিনে প্রায় চার সেশন কোনো খেলাই হয়নি। এরপরও চতুর্থ দিনই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ, যাতে দাপট ছিল স্পিনারদের। ম্যাচের ৩৬টি উইকেটের মধ্যে ৩০টিই নেন স্পিনাররা। ম্যাচের পর পিচ নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টির কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি। তিনি বলেছিলেন, এটি তাঁর দেখা সবচেয়ে বাজে উইকেট।